শ্রী ভট্টাচার্য, কলকাতা: আজকাল ইন্টারনেটের যুগ। এমন পরিস্থিতিতে, মানুষ এটি ছাড়া কোনও কাজ করতে পারে না। এর মাধ্যমে, মানুষ ঘরে বসেই একে অপরের সাথে সংযোগ স্থাপন করে। আমরা ঘরে বসেই একে অপরের সাথে নথি এবং ফাইল শেয়ার করতে পারি। এটি মানুষের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। যারা দৈনিক আয় করেন তারাও ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। বর্তমান এই পরিস্থিতিতে ইন্টারনেট ছাড়া মানুষের কী হবে তা কি কখনও ভেবে দেখেছেন? বিশ্ববাজার সহ সকল কাজ ইন্টারনেটের উপরই তো নির্ভরশীল। আজ আমরা আপনাকে ভারতের একমাত্র গ্রামের সাথে পরিচয় করিয়ে দেব যেখানে আজও মানুষ ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যবহারের জন্য অপেক্ষা করে। হ্যাঁ! এটা একেবারেই সত্যি।
ভারতের কোন গ্রামে (Indian Village) নেই ইন্টারনেট?
আসলে, এই গ্রামের নাম কিব্বার যা হিমাচল প্রদেশের লাহুল-স্পিতি জেলায় অবস্থিত, যেখানে আজও ইন্টারনেট পরিষেবা পাওয়া যায় না। ১৪ হাজার ফুটেরও বেশি উচ্চতায় অবস্থিত এই গ্রামটি দেখতে খুবই সুন্দর, কিন্তু আজও এখানকার মানুষ ডিজিটালভাবে কারও সাথে সংযুক্ত নয়। এখানকার বাচ্চাদের পাহাড়ে পাহাড়ে ঘুরে বেড়াতে হয়, যেখানে মোবাইল সিগন্যাল থাকে, সেখানে তারা তাদের হোমওয়ার্ক ডাউনলোড করে অ্যাসাইনমেন্ট পাঠাতে পারে।
খুব স্বাভাবিকভাবেই, আজকের সময়ে, শিক্ষা থেকে শুরু করে পড়াশোনা যখন সবকিছুই অনলাইনে পরিণত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে এখানকার মানুষ এবং শিক্ষার্থীদের বিরাট সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। অনলাইন ক্লাসে যোগ দিতে বা যে কোনও ফর্ম পূরণ করতে, তাদের কয়েক কিলোমিটার পাড়ি দিতে হয়। মানুষ এখানে বেড়াতে আসে, কিন্তু এখানকার মানুষের জন্য ইন্টারনেটের অভাব তাদের অনেক বছর পিছিয়ে দিয়েছে। এখানে কেউ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে না বা ইনস্টাগ্রাম রিলও দেখে না।
আরও পড়ুন: সীমান্তে নেই কোনও বেড়া, মুখোমুখি বাস করেন ভারত-পাকিস্তানের মানুষ, কোথায় জানেন?
ইন্টারনেট জগৎ সম্পর্কে অজ্ঞ। Kibber Khas
আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের ২০১৩ সালের প্রতিবেদন অনুসারে, বিশ্বে এখনও প্রায় ২.৬ বিলিয়ন মানুষ ইন্টারনেট সুবিধা গ্রহণ করতে পারছেন না। প্রায়শই এই ধরনের মানুষ পাহাড়, মরুভূমি বা ঘন বনে বাস করে। এমন জায়গায় স্মার্টফোন খুব কমই দেখা যায়। একদিকে, যখন বিশ্ব দ্রুত ডিজিটালাইজড হচ্ছে, তখন এই গ্রামের মানুষ এখনও ইন্টারনেটের জগৎ সম্পর্কে অজ্ঞ।
