অবশেষে সমস্ত জল্পনা-কল্পনা শেষ করে ঘরে ফিরলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে বিজেপিতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পরাজিত হয়ে যাওয়ার পর দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে অবশেষে তৃণমূলে ফিরে এলেন তিনি। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ঘরে ফেরার কথা শুনে রেগে গেলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
রবিবার আগরতলায় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ঘটনা শোনা মাত্রই যাবতীয় ক্ষোভ উগরে দিয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “নির্বাচনের সময় ডোমজুড়ের এক সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, দুবাইতে টাকা লেনদেন করেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি তাঁর নিজস্ব তিন-চারটে বাড়িও রয়েছে। এতকিছুর পরেও কেন তাঁকে দলে ফিরিয়ে নেওয়া হলো, তা বুঝতে পারছিনা”।
এদিন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আরো বলেন, “অভিষেক বলেছিলেন, দলের মনে আঘাত করে অথবা দলকে বিশ্বাসঘাতকতা করে, এমন কাউকে আশ্রয় দেওয়া হবে না দলে। কিন্তু এই কাজ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। আমিও দলের একজন সংসদ, আমাকে শীর্ষ নেতৃত্বকে মেনে চলতে হবে। কিন্তু এটি যেন মেনে নেওয়া যাচ্ছে না”।
প্রসঙ্গত, গত ১২ জুন কুণাল ঘোষের সঙ্গে রাজীব বন্দোপাধ্যায়ের যে সাক্ষাতকারকে সৌজন্য সাক্ষাতকার বলে দাবি করেছিলেন কুনাল ঘোষ, সেই বিষয়ে কটাক্ষ করে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যদি সৌজন্য সাক্ষাতকারই হবে, তাহলে সংবাদমাধ্যম সেখানে কি করছিল? কেউ তো আর বোকা নয়। সব কিছুই বোঝা যায়। রাজীব যদি আরো একবার চলো ফিরে আসে,তাহলে দলীয় কর্মীরা সেটাকে কিভাবে নেবে, সেটাও চিন্তা করা উচিত ছিল দলীয় শীর্ষনেতাদের”।