এবার সাইকেলে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যেতে গেলে করতে হবে না কোন কষ্ট। লাগবে না প্যাডেল করতে, মাত্র একবার চার্জ দিলে সাত দিন চলবে সেই সাইকেল। এমন একটি অভিনব সাইকেল আবিষ্কার করে সকলকে হতবাক করে দিয়েছেন জয়ন্ত মন্ডল। পেশায় শিক্ষক জয়ন্ত বাবু লকডাউনে বাড়িতে বসে নানা গবেষণার কাজ করতেন। বীরভূমের কুবিলপুর হাই স্কুলের জীবন বিজ্ঞানের শিক্ষক জয়ন্ত মন্ডল বাবু জীবনের প্রথম থেকেই বিজ্ঞানের প্রতি বিশেষভাবে আগ্রহী ছিলেন। বিজ্ঞানের নানা বিষয় নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে ভালোবাসেন তিনি।
অবশেষে ব্যাটারি চালিত সাইকেল আবিষ্কার করে তিনি হতবাক করে দিলেন সকলকে। এই সাইকেলের পিছনের চাকার সঙ্গে লাগানো রয়েছে একটি মোটর, হ্যান্ডেলের ডান হাতের মুঠোয় থাকবে এক্সিলেটর। তাতে চাপ দিয়ে আপনি সাইকেলে করে যেতে পারবেন দূরের রাস্তা খুব সহজে।
সাইকেল আবিষ্কারের বিষয়ে শিক্ষক মশাই জানান, কলেজে পড়ার সময় সাধারণত বাই সাইকেল নিয়ে বাজারে ঘুরতাম। তখন মনে হতো সাইকেলের সাহায্যে খুব কম অর্থ ব্যয় করে বিদেশ ভ্রমণ করা যায়। কিন্তু তার জন্য কষ্ট প্রচুর। তখনই মাথায় খেলে গেল এই বুদ্ধি। এরপর ২৪ ভোল্ট লিথিয়াম ব্যাটারি এবং একটি মোটর কিনে বানিয়ে ফেললাম ব্যাটারি চালিত সাইকেল।
জয়ন্ত বাবুর কথায়, স্কুলে গেলে ছাত্রছাত্রীরা উৎসাহ নিয়ে জানতে চাইলে আমি সকলকে জানাই আমার গবেষণার কথা। এমনকি রাস্তাঘাটে বাজারে ভিড় করা উৎসুক মানুষদেরও জানাই সবকিছু। যে হারে পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম বাড়ছে, তাতে করে অদূর ভবিষ্যতে আমাদের সাইকেলের দ্বারস্থ হতে হবে। সেই সাইকেল যদি সহজে চালানো যায় তাহলে তো কথাই নেই।
বাজারে এই সাইকেলের দাম পড়ে যায় ২৮০০০ টাকা, কিন্তু এটি মাত্র ৮০০০ টাকায় পাওয়া যাবে আমার কাছে। একবার চার্জ দিলে ৩০ কিলোমিটার চলবে এই সাইকেল। চার্জ দিতে সময় লাগবে ৫ ঘন্টা। সাইকেল আবিষ্কার করা ছাড়াও এমন অনেক আবিষ্কারের পথে পা বাড়িয়েছেন বিজ্ঞান শিক্ষক জয়ন্ত মন্ডল।