প্রতিটা পোস্টারে আমার মুখ কালো করে দিয়েছে, কালীপুজোর উদ্বোধনে গিয়ে ক্ষোভ মমতার

কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারের মধ্যে সাপে-নেউলে সম্পর্ক। কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকার কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়তে রাজি নয়। বাংলার বাইরে এবার নিজেদের সরকার গঠন করতে চায় তৃণমূল সরকার, আর ঠিক সেই জন্যেই এবার গোয়া সফরে যাচ্ছে তৃণমূলের সদস্যরা। দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রী এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় গিয়েছিলেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করতে। কিন্তু দিল্লি থেকে ফিরে এসেই সমালোচনার ঝড় বইছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে।

সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইন্টায়ালির বিধায়ক স্বর্ণ কমল সাহার জানবাজার সম্মিলিত কালীপুজোর সমিতির পুজো উদ্বোধন করার জন্য উপস্থিত হয়েছিলেন এবং সেখানেই বিজেপি সহ কংগ্রেস দলকে তুলোধোনা করলেন তিনি। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম যে ভাবে দিনের পর দিন বাড়ছে সেই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় সরকারকে কড়া জবাব দিলেন।

বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুজোমণ্ডপে পুজো উদ্বোধন করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করে বলেন,” আজকে সাধারণ মানুষের মাথায় হাত কারণ দিনের পর দিন ধরে যেভাবে পেট্রোল, ডিজেল এবং গ্যাসের দাম বাড়ছে সে মানুষটা কোথায় যাবে? এখন সেটাই বুঝে পাওয়া যাচ্ছেনা উত্তরপ্রদেশের কোন মানুষকে ইতিমধ্যেই ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। আমি যখন গোয়াতে গিয়েছিলাম সেই সময় আমাকে কালো পতাকা দিয়ে স্লোগান দেওয়া হয়েছিল। ওরা যত আমার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করবে ততই দিনের-পর-দিন গোল্লায় যাবে।”

বিজেপির ওপর রাগ উগড়ে দেওয়ার পর কংগ্রেসকেও ছাড়লেন না তিনি। কংগ্রেসের ওপর ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বলেন,” কংগ্রেস দলের কোনো পোস্টারে বা গাড়িতে আমাদের তরফ থেকে কিছু করা হয়নি, কিন্তু আমার প্রত্যেকটা পোস্টারে ওরা কালি লাগিয়ে দিয়েছে। বর্তমান সময়ে তোমাদের হাতে কালি আছে, কিন্তু পাবলিক যখন ভোট দেবে তখন কালিটা তোমাদের লাগবে”।

মুখ্যমন্ত্রী আরো ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,” বিজেপির হাতে কেন্দ্রের শাসনভার আসার পরে কোন ইলেকশনেই ঠিকমতো লড়েনি, কংগ্রেস সবসময় ভোট হওয়ার আগেই বড় বড় কথা বলে এসেছে ওরা সবসময় কম্প্রোমাইজ করেছে, কিন্তু আমাদের দল সেটা করেনি। তাই কংগ্রেসের মতো দলের উপর নির্ভর করা সম্ভব নয়। কংগ্রেস আমাদের সাপোর্ট বাংলাতে করে না কিন্তু ওরা চায় বাইরে যেন আমরা তাদের সাপোর্ট করি। কিন্তু এটা তো সম্ভব নয়।”

Papiya Paul

X