দুর্গাপুজোর প্রাক্কালে যেভাবে বাংলাদেশী হিন্দুদের উপর অত্যাচার করেছে মুসলমানরা, তার ফলে বাংলাদেশসহ ভারতের হিন্দুরা ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মুসলমানদের প্রতি। বিভিন্ন স্থানে দেখা গিয়েছে প্রতিবাদী আন্দোলন। বাংলাদেশের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এবার নন্দীগ্রামে মিছিল করতে দেখা গেল শুভেন্দু অধিকারীকে।
বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর যে অত্যাচারের ঘটনা সামনে উঠে এসেছিল, যার ফলে সোমবার নন্দীগ্রামের তেখালি ব্রিজ থেকে মহেশপুর বাজার পর্যন্ত মিছিল করেন শুভেন্দু অধিকারী। মিছিল শেষে মহেশপুর বাজার এলাকায় একটি জনসভার আয়োজন করা হয় যেখানে নিজের মূল্যবান বক্তৃতা দেন বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আমি স্বামী বিবেকানন্দের শিষ্য। প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আমাকে আটকানো যাবে না। কালী পূজার দিন আরো একবার এখানে আমি আসবো। পশ্চিমবঙ্গের সর্বত্র সনাতন ধর্ম প্রতিষ্ঠা করে তবেই রাজনীতি ছাড়বো এই কথা দিলাম”।তিনি আরো বলেন, “প্রত্যেকটি পুজোয় অংশগ্রহণ করে আমি নিজের এলাকার মানুষের পাশে থাকবো। ১২ তারিখ জগদ্ধাত্রী পুজো। ১৬,১৭,১৮ তারিখ অধিবেশন ডাকা হয়েছে। ডুয়ার্স এবং পুরুলিয়া অঞ্চলে কালী পূজার পরের দিন তিন দিন গোয়াল পরিষ্কার করে গোয়াল পুজো করা হয়। মনে করা হয় এই তিনদিন গোয়ালে ভগবান আসেন। তাহলে কি মনে করে এই দিনগুলোতে অধিবেশন রাখা হচ্ছে”?
এদিন লক্ষ্মণ শেঠের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, “বাম জমানায় লক্ষ্মণ শেঠকে ভূপতিত করেও আমাকে ভয় দেখাতে পারেনি।আমাকে শায়েস্তা করার পরিকল্পনা অনেকেই করেছেন। কিন্তু জানিয়ে রাখি তাদের সকলেরই ঠাই শ্রীঘরে হয়েছে। মানুষের সঙ্গে থেকে সনাতনের ধ্বজা আমি পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে তুলবই এই কথা দিলাম”