ঠান্ডা লড়াই চলছিল অনেকদিন আগে থেকেই। বাংলাদেশের মুসলিমদের কার্যকলাপ সেই লড়াইকে উসকে দিল সম্পূর্ণভাবে। বাংলাদেশের মুসলিমদের কার্যকলাপের বিরোধিতা করতে গিয়ে এবার ভারতবর্ষের হিন্দুরা বিভিন্ন স্থানে মুসলিম বিরোধী কার্যকলাপ করতে শুরু করেছেন। দীপাবলীর পরেরদিন উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন জেলায় পালন করা হয় গোবর্ধন পূজা।
শুক্রবার গুরু গ্রামের সেক্টর ১২- র একটি মনোনীত নামাজের জায়গায় গোবর্ধন পূজা আয়োজন করেছিলেন সংযুক্ত হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি। এই পুজোয় অংশগ্রহণ করেছিলেন বিজেপি সদস্যরা। রাস্তার ওপরে প্রতি শুক্রবার নামাজ পড়তেন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজন, এবার এই রাস্তাতে প্রকাশ্যে গোবর্ধন পুজোর আয়োজন করা হলো।
তবে এই পদক্ষেপ নামাজ পড়ার বিরুদ্ধে বলেই জানা গেছে। এদিন সেক্টর ১২- র পাশাপাশি সেক্টর ৪৭ ও ডি এল এফ ফেজ ৩ – র নির্ধারিত নামাজ পড়ার স্থানীয় গোবর্ধন পূজা করা হয়। এই দুটি জায়গায় পুলিশি তত্ত্বাবধানে উভয় সম্প্রদায়ের প্রার্থনা শান্তিপূর্ণভাবে করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
কিন্তু কেন হঠাৎ নামাজের জায়গায় করা হলো গোবর্ধন পুজোর আয়োজন? আসলে গুরু গ্রামের হিন্দু সংগঠন গুলির খোলা রাস্তায় নামাজ পড়ার বিরোধিতা করেছিলেন। তাই প্রকাশ্যে যে সমস্ত জায়গায় নামাজ পড়া হত, সেই সমস্ত জায়গায় শুক্রবার গোবর্ধন পূজা করে মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরোধিতা করেছেন হিন্দু গোষ্ঠীর সদস্যরা। ভবিষ্যতে যাতে কোনো সমস্যা তৈরি না হতে পারে তাই উক্ত স্থানে নামাজ পড়তে নিষেধ করা হয়েছিল প্রশাসন থেকে।
এই পূজার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র। তিনি বলেন,” গুরুগ্রামের সংযুক্ত হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি আগামী দিনের পথ দেখিয়েছে দেশকে। তারা দেখিয়েছেন, রাস্তায় স্বাধীনভাবে চলার জন্য কোন আইন না ভেঙ্গে কিভাবে যুদ্ধে জয়ী হওয়া যায়”। কিন্তু এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন AIMIM সভাপতি আসাদুদ্দিন ওয়াইসি। তিনি বলেন, “প্রতিবাদকারীরা যে কি ভীষণ কট্টরপন্থী, তা প্রমাণ হয়ে গেল। মুসলমানদের প্রতি তারা যে কতখানি ঘৃণা পোষণ করেন, তার উদাহরণ পাওয়া গেল। সপ্তাহে একবার কিছুক্ষণের জন্য রাস্তায় নামাজ পড়লে মনে হয় না কারোর কোন বিশাল ক্ষতি হয়ে যেত”।