মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নির্বাচনে জয় যুক্ত হয়েছিলেন তিনি। বিজেপির একজন হেভিওয়েট নেতা তিনি। তবে সেই হেভিওয়েট নেতা নাকি কিছুদিনের মধ্যেই তৃণমূলে যোগ দেবেন, এমন একটি জল্পনা ছড়িয়ে দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। সৌমেন বাবু বলেন,”রাজ্যের বিরোধী দলনেতার লালবাতি কিছুদিনের মধ্যেই নিভে যাবে। এখন শুধু অপেক্ষা তৃণমূলে যোগ দেওয়ার”।
খোদ মন্ত্রীর এই রকম একটি বয়ান শোনার পর জল্পনা-কল্পনা ছড়িয়েছে সমস্ত মহলে। শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে যারা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন, তাদের অনেকেই তৃণমূলে ফিরে চলে এসেছেন। এমন অনেক নেতা রয়েছেন যাদের তৃণমূলের ফিরে আসার কোন সম্ভাবনা ছিল না, তারাও ফিরেছেন তৃণমূলে। তাই শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলে যোগ দেওয়া অসম্ভব নয় বলেই দাবি করেছেন সৌমেন মহাপাত্র।
সৌমেন বাবু বলেন,”নন্দীগ্রামে নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। খুব শীঘ্রই মামলার রায় ঘোষণা হবে। মামলার রায়ের পর শুভেন্দু বাবু বিধায়ক বা বিরোধী দলনেতা, কোনটাই থাকবেন না। ওনার লালবাতি খুব শীঘ্রই নিভতে চলেছে। খুব শীঘ্রই তিনি তৃণমূলে যোগদান করবেন”।
উল্লেখ্য, রবিবার শুভেন্দুর কেন্দ্র নন্দীগ্রামে একটি রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন সৌমেনবাবু। সেখানে পেট্রোপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে কটাক্ষ করেন বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে। অনুষ্ঠান থেকে ঘোষণা করা হয় আগামী ১০ নভেম্বর শহীদ দিবস উদযাপন করা হবে। শেষে শুভেন্দু বাবুর প্রসঙ্গে এই কথা বলেন তিনি জানিয়ে এখন রীতিমত জল্পনা-কল্পনা হচ্ছে শাসক দল এবং বিরোধী দলের মধ্যে