গত বেশ কয়েক বছর ধরে বারংবার প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে একেবারে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে বিভিন্ন উপকূলবর্তী এলাকা। সব থেকে খারাপ অবস্থা সুন্দরবন এলাকাবাসীদের। বারংবার দুর্যোগের সম্মুখীন হওয়া মাথা তুলে দাঁড়াতে পারছেন না তারা। তার মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের একাধিক এলাকা থেকে উঠে আসছে দুর্নীতির অভিযোগ।
২০১৭ সালে বন্যা পরিস্থিতি মালদহ জেলাতে যে ত্রাণের টাকা পাঠানো হয়েছিল, তা লুট করে সেখানকার প্রধান। গত দুই মাসে অনেক খোঁজ করলেও পঞ্চায়েত প্রধান সোনামনি সাহাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এই পরিস্থিতিতে পুলিশের তরফ থেকে জারি করা হয়েছে প্রধানের নামে হুলিয়া। প্রায় ৭৬ লক্ষ টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায় এই প্রধান।
অন্যদিকে পঞ্চায়েত প্রধানের পাশাপাশি হরিশ্চন্দ্রপুর ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কোয়েল দাস সহ আরো বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ত্রাণের টাকা লুট করার অভিযোগ উঠেছে। এখনো পর্যন্ত অভিযুক্তদের খুঁজে পায়নি পুলিশ।২০১৭ সালে মালদা ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ৩৩০০ টাকা এবং সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ৭০ হাজার টাকা দেওয়ার ঘোষণা করেছিল সরকার। কিন্তু সরকারের তরফ থেকে এই টাকার পাওয়া তো দূরের কথা কোন সাহায্যই পাইনি ক্ষতিগ্রস্থ এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো।
ত্রাণের দুর্নীতির অভিযোগ সামনে নিয়ে এসে মামলা করেছিলেন কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান। অভিযোগ করেছিলেন, তালিকায় প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের নাম থাকা সত্বেও তৃণমূল নেতাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের নম্বর বসিয়ে টাকা পাচার করে দেওয়া হতো অন্য জায়গায়। এই পরিস্থিতিতে দুর্নীতি মামলায় আদালতে বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আদালতে সমস্ত তদন্ত রিপোর্ট পেশ করতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। আপাতত এই বিষয় নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে রয়েছে তৃণমূল সরকার। তাই যথা সম্ভব পলাতক অভিযুক্তদের খুঁজে বার করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।