ছত্রিশগড়ের এক প্রত্যন্ত গ্রামে জন্ম নিয়েছে তিন চক্ষু বিশিষ্ট একটি বাছুর। ছত্রিশগড়ের রাজনন্দগাঁও জেলার এই আজব ঘটনায় শোরগোল পড়েছে সেই এলাকায়। এই ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার সাথে সাথেই ভাইরাল হতে সময় নেয়নি। জন্মানোর সাথে সাথেই গ্রামবাসীদের নজরে এসেছে এই তিন চক্ষু বিশিষ্ট বাছুর। আর এমন বাছুর দেখে অনেকেই ভগবান শিবের রূপ হিসেবে মনে করছেন।
ইতিমধ্যেই ওই জেলায় পূজিত হতে শুরু করেছে এই বাছুর। তবে ওই বাছুরের তিনটি চোখ ছাড়াও নাসিকা ছিদ্রের সংখ্যাও ৪। ওই বাছুরের মালিক নীরাজ চান্দেল মিডিয়ার সামনে বলেছেন যে প্রথমে তারা ভেবেছিলেন ওই বাছুরের মাথায় হয়তো কোনো কারণে চোট লেগেছে। কিন্তু পরে টর্চ এর মাধ্যমে ভালো করে দেখে তারা বুঝতে পারলেন যে এটার শুধুমাত্র তিনটে চোখ নয় বরং ওই বাছুরের নাসিকা ছিদ্রর সংখ্যা চারটি। আরও অবাক হওয়ার বিষয় এই যে এই বাছুরের লেজও স্বাভাবিক নয়, একেবারে বিনুনি করার মত বাধা রয়েছে বাছুরের লেজ।
তিনি আরো বলেছেন যে গ্রামবাসীরা এই বাছুরটিকে ভগবান শিবের একটি অবতার হিসেবে পুজো করার জন্য আসছেন। তিনি বলেন, এই বাছুরের জন্মের সময় থেকেই মনে হল ভগবান শিব আমাদের দরজায় এসে দাঁড়িয়েছেন। ওই বাছুরের মালিক আরও জানিয়েছেন যে গরু ওই বাছুরের জন্ম দিয়েছে সে পরে আরো দুটো বাছুরের জন্ম দিয়েছে কিন্তু ওই দুটো বাছুর এর মধ্যে কোনো অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য হয়নি। ওই গ্রামের এক গ্রামবাসী বলেছেন যে তিনি জীবনে কোনদিন এরকম তিন চক্ষু বিশিষ্ট বাছুর দেখেননি। একমাত্র শিবের কাছে তিনটি চোখ ছিল। এটা একটা অভূতপূর্ব মিরাক্কেল।
তবে ইতিমধ্যে ওই বাছুরকে চিকিৎসা করানো হয়েছে। চিকিৎসক জানিয়েছেন, এই বাছুর সম্পূর্ণ সুস্থ এবং স্বাভাবিক। তবে চিকিৎসক জানিয়েছেন এটা কোন মিরাকেল ঘটনা নয়। হরমোনের সমস্যার জন্য এরকম ঘটনা ঘটে থাকে। এরকম বাছুর বা যেকোনো সদ্যোজাত প্রাণীর আয়ু খুব একটা বেশি হয় না। কেউ কেউ বাঁচে ৬ মাস, কেউ আবার দু’বছর, অনেক ক্ষেত্রে ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে মারা যেতে দেখা গিয়েছে।