অঙ্কিতা লোখান্ডে টিভি ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম জনপ্রিয় এবং সুন্দরী অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম। ছোট পর্দা থেকে বলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি সর্বত্রই নিজের জাদু বিছিয়ে রেখেছেন তিনি। একাধিক সুপারহিট হিন্দি ধারাবাহিকের পাশাপাশি ‘বাঘি 3’ এবং ‘মণিকর্ণিকা: দ্য কুইন অফ ঝাঁসি’-এর মতো কিছু বলিউড ছবিতেও কাজ করেছেন অঙ্কিতা। এইমুহুর্তে অঙ্কিতা লোখান্ডে সেইসব টিভি অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন যারা তাদের পেশাগত জীবনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনের সৌজন্যেও আলোচোনার কেন্দ্রবিন্দুতে বিরাজ করেন। তার ফ্যান ফলোয়িংও কোনো বড়ো বলি অভিনেত্রীর চেয়ে কম নয়। প্রায়শই তার সোশ্যাল মিডিয়ায় করা পোস্টের দৌলতে খবরের শিরোনামে থাকতে দেখা যায় তাকে।
প্রসঙ্গত, বেশ কিছুদিন আগেই অঙ্কিতা লোখান্ডে তার দীর্ঘদিনের প্রেমিক ভিকি জৈনের সাথে গাঁটছড়া বেঁধেছেন। অঙ্কিতা এবং ভিকির বিয়ে টেলিভিশন জগতের বহুল চর্চিত বিবাহ গুলির মধ্যে অন্যতম এবং দম্পতির বিয়ের ছবিও সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ ভাইরাল হয়েছিলো সেইসময়। অঙ্কিতার সাম্প্রতিক পোস্ট থেকে স্পষ্টই বোঝা যায় যে, বিয়ের পর নিজেদের দাম্পত্য জীবন চুটিয়ে উপভোগ করছেন এই কপোতকপোতি। তবে এই দম্পতিকে নিয়ে হামেশাই জল্পনা গুজব চলতে থাকলেও ভিকি জৈনের সম্পর্কে বিস্তারিত খুব কম মানুষই জানেন।
জানিয়ে রাখি, অঙ্কিতার স্বামী এই মুহূর্তে ভারতবর্ষের সফল ব্যবসায়ীদের মধ্যে অন্যতম। রায়পুরের বাসিন্দা ভিকি জৈন একটি ব্যবসায়ী পরিবার থেকে উঠে এসেছেন। তার বাবা-মা দুজনেই ব্যবসায়িক জগতে যথেষ্ট সক্রিয়। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী,, ভিকি ‘মহাবীর ইন্সপায়ার গ্রুপ’ বহুজাতিক কোম্পানির মালিক। এছাড়াও 100 কোটিরও বেশি মূল্যের PIT কোল নামেও একটি কোম্পানি রয়েছে তার। ক্রিকেটের প্রতিও ব্যাপক আগ্রহের কারণে বিসিএলে খেলা ‘মুম্বাই টাইগার্স’ দলের মালিকানাও কিনে নিয়েছেন ভিকি।
মিডিয়া সূত্রে জানা যাচ্ছে, 2019 সালে মুম্বাইতে 8 BHK-এর এক বিলাসবহুল ফ্ল্যাট কিনেছেন ভিকি। বিয়ের পর এই ফ্ল্যাটেই এসে উঠেছেন এই নবদম্পতি। এছাড়া নিজের শহর রায়পুরেও একটি প্রাসাদপ্রম বাড়ি রয়েছে তার। মোটের উপর ভিকি জৈনের মোট সম্পদ সম্পর্কে কথা বলতে গেলে তার মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় 40 কোটি টাকা এবং এর পাশাপাশি, সম্প্রতি মুম্বাইতে আরো একটি বিলাসবহুল বাড়ি কিনেছেন, যার মূল্য প্রায় কোটি টাকার উপর। মিডিয়া সূত্রে জানা যাচ্ছে, ভিকি জৈনের শখ রয়েছে বিলাসবহুল জীবনযাপনের এই কারণেই তার কাছে রয়েছে ল্যান্ড ক্রুজার, মার্সিডিজ বেঞ্জের মতো অনেক লাক্সারী গাড়ি।