দেশে হোক বা বিদেশে, বিমান পরিষেবার দৌলতে আজকাল ভ্রমণ খুব সহজ। আর এই কারণেই দিন দিন বাড়ছে আকাশপথে ভ্রমণকারীর সংখ্যা। তবে আপনি যদি প্রথমবারের জন্য বিমানে ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন, তাহলে এয়ারলাইন্স সম্পর্কিত এই তথ্যগুলি আপনার জেনে রাখা দরকার।
১. পাইলটরা বিমানে ঘুমিয়ে পড়েন : শুনতে অদ্ভুত এবং ভীতিকর মনে হলেও কখনও কখনও পাইলটরা বিমানটিকে বাতাসে ওড়ানোর সময় ঘুমিয়ে পড়েন। পাইলটরা অটো পাইলট মোডের মাধ্যমে এটি করতে সক্ষম হন। এটি পাইলট ঘুমিয়ে থাকার পরে বিমানকে নিয়ন্ত্রণ করতে কাজ করে। তবে এই সময়ে দ্বিতীয় পাইলট জেগে থাকেন এবং বিমানের উপর তার সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকে। এইভাবে উভয় পাইলট অটো পাইলট মোডের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে কিছুক্ষণ করে ঘুমিয়ে নেন।
২ . পাইলট এবং যাত্রীদের খাবার আলাদা : প্রতিটি এয়ারলাইন কোম্পানিই তার যাত্রীদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করে থাকে। তবে পাইলট এবং যাত্রীদের খাবারের প্লেট কিন্তু এক হয় না। আসলে, বিমান উড্ডয়নের পর পাইলটকে হালকা ও স্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশন করা হয়, যা তার শরীর সহজেই হজম করতে পারে। এদিকে ফ্লাইটে ভ্রমণকারী যাত্রীদের তাদের পছন্দ মতো ভেজ ও নন-ভেজসহ নানান ধরনের খাবার পরিবেশন করা হয়।
৩. কফি পান করা থেকে বিরত থাকুন : আপনার যদি কফির নেশা থাকে তাহলে ফ্লাইটে ভ্রমণের সময় তা থেকে বিরত থাকুন। কারণ প্লেনে এই কাপ মাত্র একবারই পরিস্কার কর হয়। তাই বারবার একই পাত্রের কফি খাওয়া উচিত নয়।
৪. বিমানে থাকা অক্সিজেন মাস্ক মাত্র ১৫ মিনিট জীবন বাঁচাতে সক্ষম : বিমান ওড়ার আগে এয়ার হোস্টেস সমস্ত যাত্রীদের প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সরঞ্জাম সম্পর্কে অবহিত করে, যার মধ্যে অক্সিজেন মাস্ক একটি। কিন্তু আপনি জেনে অবাক হবেন যে বিমানে উপস্থিত অক্সিজেন মাস্ক মাত্র ১৫ মিনিটের জন্য কাজ করে।
৫. হেডফোনের ব্যবহার : কোনো ব্যক্তি যাতে বিমানে ভ্রমণের সময় বোর না হন তাই তার বিনোদনের দিকেও পূর্ণ খেয়াল রাখা হয়। এতে থাকে গান শোনা বা সিনেমা দেখার সুবিধা। আর এর জন্য হেডফোনও দেওয়া হয় সবাইকে।
৬. বিমানেও রয়েছে গোপন ক্যামেরা : যদিও প্লেনে কোনও বাহ্যিক ক্যামেরা দেখা যায় না, কিন্তু তার মানে এই নয় যে সেখানে সত্যিই কোনও ক্যামেরা নেই। তাই এবার থেকে বিমানে কিছু করার আগে সাবধান।
৭.লাশ রাখার জায়গা নেই : ফ্লাইটে কেউ অসুস্থ হলে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার সুবিধা থাকলেও হঠাৎ কেউ মারা গেলে সে অবস্থায় এয়ারলাইন্সের কিছু করার নেই। এমনকি ফ্লাইটে মৃতদেহ রাখার বাড়তি জায়গা না থাকায় বিমান অবতরণ পর্যন্ত লাশটি তার সিটেই রাখা হয় অথবা শরীরটি একটি কম্বল দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয় এবং একটি কোণে শুইয়ে দেওয়া হয়।