যত দিন যাচ্ছে মানুষ তত বেশি পাশ্চাত্য সভ্যতায় অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে। মডেলিং থেকে শুরু করে ফটোশুট, মিটিং, অফিস সবেতেই এখন পাশ্চাত্যের ছোঁয়া। ‘শাড়িতেই নারী’ কথাটা এখন কেবল একটা প্রবাদবাক্য হয়েই রয়ে গেছে। আধুনিকতার নামে দেশীয় কালচারকেই ভুলতে বসেছে বেশিরভাগ মানুষ। পাশাপাশি তারা ভুলতে বসেছে যে, আধুনিকতা মানেই শুধু ওয়েস্টার্ন পরা, তা কিন্তু নয়, আধুনিকতা মানে দুটোকেই একই সাথে ব্যালেন্স করা।
কালের প্রবাহে বাঙালি নারীর বসনেও এসেছে নানা সাজ, বিভিন্ন রূপ। তবু শাড়ির গরিমা ফিকে করার ক্ষমতা বোধহয় কারোর নেই। আর এই সত্য অনুধাবনেই যেনো ঐতিহ্যবাহি পোশাকটির প্রতি আকর্ষণের কমতি নেই নতুন প্রজন্মের কিছু নারীদের মধ্যে। কিছু মানুষ এখনও আছে যারা নিজেদের ঐতিহ্যকে বজায় রেখেছে। এমনই এক অভিনেত্রী হলেন ছোটপর্দার ঝিলিক ওরফে শ্রীতমা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দেশে যতই আধুনিকতার প্রভাব থাক না কেন, এখনও ভারত তথা উপমহাদেশীয় নারীদের সাজে পূর্ণতা আনে ঐতিহ্য আর আভিজাত্যের এই বসন। বিয়ে থেকে শুরু করে, পুজোপার্বণ, বিভিন্ন ধরনের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জন্য বাঙালি নারী এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি শাড়ির উপর নির্ভরশীল। আর এই তালিকায় রয়েছেন শ্রীতমাও।
যে কোনো উৎসব অনুষ্ঠানে নিজেদের ট্র্যাডিশনটা বজায় রাখতে ভালোবাসেন তিনি। অভিনেত্রীর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে একবার উঁকি দিলেই দেখতে পাবেন যে, তিনি সবসময় শাড়িতেই মোহময়ী। কখনও সিল্ক তো কখনও বা হ্যান্ডলুম, কাঞ্জিভরম হয়ে ওঠে তার সঙ্গী। সাথে মানানসই হেয়ারস্টাইল, জুয়েলারি আর মেকাপ তো রয়েইছে।
সম্প্রতি আবারও একবার কাঁথাস্টিচ শাড়িতে ধরা দিলেন অভিনেত্রী। প্রতিবারের মতো এবারও কেড়ে নিয়েছেন সমস্ত লাইমলাইট। এহেন সুন্দরীর উপর থেকে চোখ ফেরাবে কার সাধ্যি? সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট করতেই কমেন্ট বক্সে উপচে পড়ছে প্রশংসাবার্তা। কেউ লিখেছেন, ‘একেবারে রবীন্দ্র নায়িকা’। আবার কেউ লিখেছেন, ‘শারদ সুন্দরী’। তো কেউ নাম দিয়েছে ‘মেঘবালিকা’।
Instagram-এ এই পোস্টটি দেখুন
এরপরেই আরো একটি ছবিততে ছবিতে দেখা যাচ্ছে, লাল সাদা রঙের হ্যান্ডলুম শাড়ি, আর হাতে পদ্ম। বাঙালি পুরুষদের স্বপ্নসুন্দরী তো এমনই হয়। এমনিতে অভিনয় গুনের জন্য তার ভক্ত নেহাত কম নয়। তার উপর আবার এরকম সব হৃদয় হরণ করা ছবি দিয়ে ঘায়েল করেছেন রাজ্যের লাখো পুরুষকে। এবার তো অভিনয়ের পাশাপাশি সৌন্দর্যের জন্যেও চর্চায় চলে এসেছেন শ্রীতমা।