বিয়ের পর থেকে পুরোদস্তর ঘরনী হয়ে গেছেন বলি ডিভা ক্যাটরিনা। বিদেশে বড়ো হলেও এখন মনেপ্রাণে ভারতীয় হয়ে উঠেছেন তিনি। স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি, দেওর নিয়ে এখন ভরা সংসার তার। শশুর বাড়িতে তার আদর যত্নও কম কিছু নয়। সম্প্রতি ভিকি কৌশলের মা-বাবার আদুরে বউমা নিজমুখেই শেয়ার করলেন তাঁর ‘শশুরাল গেন্দাফুল’-এর কথা।
প্রসঙ্গত, বরাবরই মিডিয়া অ্যাটেনশন থেকে দূরে থাকতে পছন্দ করেন ক্যাটরিনা। ব্যক্তিগত জীবনটা নিজের মতো করে উপভোগ করতেই বেশি ভালোবাসেন তিনি। আর এখন তোসিনেমা, শুটিং, কাজের ব্যস্ততা সামলে যে দিব্যি গুছিয়ে ঘরকন্না করছেন ভিকি-ক্যাটরিনা, তা বলাই বাহুল্য। যেমন দেশ বিদেশে ঘুরতে যাচ্ছেন তেমনই ঘরের পুজো অর্চনাও করছেন মন দিয়ে।
এই যেমন দিন কয়েক আগেই দীপাবলির পুজোর ছবি শেয়ার করে ভিকি লেখেন, ঘরের লক্ষ্মীকে নিয়ে লক্ষ্মীপুজো করছি। আবার যেখানে বলিউডের বাকি নায়িকারা সনাতনী রিচুয়ালসের কথা শুনলেই মুখ বাঁকান সেখানে এই মেয়ে ধুমধাম করে সেসব পালন করেন। কিছুদিন আগেই হালফিল ফ্যাশন থেকে বহু যোজন দূরে, একেবারে ট্র্যাডিশনাল পোশাকে নিজেকে সাজিয়ে স্বামীর মঙ্গলকামনায় করওয়া চৌথের ব্রত পালন করেছেন তিনি।
এমন মেয়েকে ভালো না বেসে পারা যায়? তবে বিদেশিনী বৌমাকে নিয়ে গর্বে বুক ভরে উঠলেও মেম-নাম বোধহয় পাঞ্জাবি পরিবারের সেভাবে পছন্দ হয়নি। আর সেই কারণেই ক্যাটরিনার এক নতুন নামকরণ করে ফেলেছেন ভিকি কৌশলের মা। সম্প্রতি এমনটাই শোনা গেল অভিনেত্রীর মুখে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ক্যাটরিনার আসন্ন ছবি ‘ফোন ভূত’-র প্রচারের জন্য দ্য কপিল শর্মা শোয়ে হাজির হয়েছিল গোটা টিম। কথাপ্রসঙ্গে ক্যাটরিনার শশুরবাড়ির কথা এলে অভিনেত্রী জানান, বিয়ের পর তার জীবনে অনেকটাই বদল এসেছে। এক কথায় বললে, দায়িত্ব, ভালোবাসায় পরিপূর্ণ একটা পরিবার পেয়েছেন অভিনেত্রী।
ক্যাটরিনার কথায়, ‘শাশুড়ি মা আগে রোজ সকালে প্রাতঃরাশে পরোটা খাওয়ার জন্য জোর করতেন। কিন্তু আমি তো ডায়েটে থাকি, তাই অল্প খেয়ে রেখে দিতাম। তবে এখন মা অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছেন। তাই মিষ্টি আলু দিয়ে খাবার তৈরি করে দেন।’ পাশাপাশি তার একটা নতুন নামও রেখে ফেলেছেন ভিকির মা। ক্যাটরিনার মন্তব্য, “শ্বশুরবাড়িতে আমাকে সকলে ভালবেসে কিট্টু বলে ডাকেন। “