প্রতি বছর শয়ে শয়ে ছবি রিলিজ হয় বলিউডে। শর্টফিল্ম থেকে শুরু করে পূর্ণদৈর্ঘ্যের ছবি সবই নির্মাণ করে থাকে নির্মাতারা। এর মধ্যেই এমন বেশকিছু ছবি আছে যার দৈর্ঘ্য এতটাই বড় যে ছবি নির্মাণের পর ছবি মুক্তি দেওয়া নিয়ে চিন্তায় পড়ে গিয়েছিল নির্মাতারা। এমনকি এমনকি কিছু চলচ্চিত্র এত বড় যে সেগুলি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দিতে অস্বীকার করা হয়েছিল।
এই ছবিগুলির দৈর্ঘ্য প্রায় ৪-৫ ঘন্টা। আদৌ এতবড়ো ছবি কেউ দেখবে? এই ভয় নিয়েই রিলিজ করা হয়েছিল ছবিগুলি। কিন্তু মজার বিষয় হল, এই প্রতিটি ছবিই হিট তো অনেক ছোট কথা রীতিমত ব্লকব্লাস্টার হিট প্রমাণিত হয়েছে বক্স অফিসে। তাহলে চলুন দেখে নিই ছবিগুলির নাম।
১) মেরা নাম জোকার : ১৯৭০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘মেরা নাম জোকার’ ছবিটি রাজ কাপুরের অভিনয়ের জন্য বিশেষ জনপ্রিয়। রাজ কাপুর ছাড়াও এই ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন সিমি গারেওয়াল, কেসনিয়া রায়বিঙ্কিনা এবং পদ্মিনী। ‘মেরা নাম জোকার’ ছিল বলিউডের দীর্ঘতম চলচ্চিত্রগুলির একটি। এই ছবির রানটাইম ছিল ৩ ঘন্টা ৪৪ মিনিট। তবে তার চেয়েও মজার বিষয় হল, ছবিতে মোট ২৮ টি গান ছিল।
২) লগন : ২০১১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘লগন’র কথা তো সবাই জানেন। আমির খান, রঘুবীর যাদব, কুলভূষণ, খারবান্দা, রাজেন্দ্র গুপ্ত এবং গ্রেসি সিং এই অভিনীত এই ছবি নিজেই একটি উদাহরণ। ছবিটি পরিচালনা করেছেন, আশুতোষ গোয়ারিকর। ছবির রানটাইম ছিল ৩ ঘন্টা ৪৪ মিনিট।
২) মহব্বতে : ২০০০ সালে বক্স অফিসে মুক্তি পায় এই ছবিটি। ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে’-এর পর এই ছবিটি ছিল আদিত্য চোপড়ার দ্বিতীয় পরিচালনা। এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন অমিতাভ বচ্চন, ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন এবং শাহরুখ খান। ছবির মোট রানটাইম ছিল ২১৬ মিনিট। নির্মাতারা ছবি নিয়ে ভয় পেলেও ২০০০ সালের সর্বোচ্চ আয়করি ছবি ছিল এটি।
৪) সালাম-ই-ইশক : সালাম-ই-ইশক ছবিটি মুক্তি পায় ২০০৭ সালে। এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন জন আব্রাহাম, সালমান খান, অনিল কাপুর, বিদ্যা বালান, জুহি চাওলা, প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার মতো তারকারা। সবে মিলিয়ে এই ছবিটি একটি মাল্টিস্টারার ছবি। তবে এরকম তাবড় তাবড় স্টার কাস্টিংয়ের পরেও কিন্তু সেরকম সাড়া ফেলতে পারেনি ছবিটি। ছবিটির মোট রানটাইম ছিল ৩ ঘন্টা ৩৬ মিনিট।