Papiya Paul

‘দামে কম পুষ্টিতে বেশি’! নীল রঙের আলু উৎপাদন করে দেশবাসীকে চমকে দিলেন এই কৃষক

ভারতে যেহেতু একটি কৃষি প্রধান দেশ তাই এখানে প্রচুর পরিমাণে আলু উৎপাদিত হয়। আলু দিয়ে বিভিন্ন ধরনের রান্না তৈরি করা যায়। আর খুব সহজে ও চটজলদি রান্না করার ক্ষেত্রে আলুর জুড়ি মেলা ভার। তাই মানুষের পছন্দের এক সবজি হলো এই আলু। আর তাই ভারতের বাজারে আলুর চাহিদা মেটাতে ছোট-বড় অনেক রকমের আলু চাষ করা হয়। তবে এবার মধ্যপ্রদেশের এক চাষী ব্লু পটেটো ফার্মিং এর একটি নতুন জাতের চাষ করে সকলকে চমকে দিয়েছে।

   

এই আলু বাইরে থেকে সম্পূর্ণ নীল রঙের। যিনি এই আলু তৈরী করেছেন, সেই কৃষকের নাম মিশ্রিলাল রাজপুত। যিনি মধ্যপ্রদেশের ভোপাল শহরের খেজুরি কালা গ্রামের বাসিন্দা। সেখানেই তিনি এই নীল রঙের আলুর চাষ করেছেন। আর এই আলুর নাম তিনি রেখেছেন নীলকান্ত। এই আলু ভেতর থেকে সাধারণ আলুর মতো দেখতে হলেও স্বাদে সাধারণ আলুর চেয়ে অনেক ভালো। এমনকি আলুর পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। যদিও এই আলু এখন বাজারে বিক্রি হবে না।

এই কৃষক প্রথমেই আলুর বীজ প্রস্তুত করতে চান। যখন প্রচুর পরিমাণে আলুর বীজ প্রস্তুত হয়ে যাবে তখনই আলু বাজারে বিক্রির জন্য পাঠানো হবে। এমনকি হিমাচল প্রদেশের সিমলাতে অবস্থিত কেন্দ্রীয় আলু গবেষণা থেকে এই আলুর পুষ্টিগুণ যাচাই করা হয়েছে। যেখানে দেখা গেছে এটি অন্য জাতের আলুর তুলনায় পুষ্টিগুণে অনেক বেশি সমৃদ্ধ। এমনকি এটি দ্রুত রান্না করা যায়।

এই আলুতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর পরিমাণ বেশি থাকে। এছাড়া এই ১০০ গ্রাম নীলকন্ঠ আলুতে ১০০ মাইক্রোগ্রাম অ্যান্থোসায়ানিন এবং মাইক্রোগ্রাম অপরিহার্য অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছ।। এই আলু খেলে গ্যাস বা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যেতে পারে। যদিও এই আলুর দাম এখনো ঠিক করা হয়নি। এই কৃষক আলুর তৈরি করে বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। যদিও এর আগে তিনি লাল রং এর ঢ্যাঁড়শ তৈরী করে সকলকে অবাক করে দিয়েছিলেন।