আজ আমি আপনাদেরকে এমন একজনের কথা বলব যিনি অনেকদিন ধরে চাকরি খুঁজেও চাকরি জোগাড় করতে পারেননি। তবুও নিজের চেষ্টায় এখন বাড়ি বসে প্রচুর টাকা ইনকাম করছেন। এই ব্যক্তি হলেন কেরালার এর্নাকুলাম জেলার এলডহোস পি. রাজু। যিনি চাকরি না পেলেও সাহস হারাননি বরং নিজের ছোটবেলার শখকে পেশায় পরিণত করেছেন। ছোটবেলা থেকেই তার বাগান করতে খুব ভালবাসতেন আর সেই শখকে কাজে লাগিয়েই ভালো টাকা রোজগার শুরু করেন তিনি। তার বারান্দায় পদ্মের গাছের চাষ শুরু করেন আর এই পদ্ম গাছ অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করেন।
তিনি কাতার থেকে নিজের চাকরি ছেড়ে বাড়িতে এসেছিলেন কারণ ভারতে অবশ্যই ভাল চাকরি পাবেন এই আশা তার ছিল। কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও তিনি ভালো চাকরি জোগাড় করতে পারেননি। চাকরি না থাকায় খুব চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। পরবর্তীকালে ছোটবেলার শখের কথা তার মাথায় আসে। বাইরে থেকে কন্দ এনে তিনি তার বারান্দায় পদ্ম ফুলের চাষ শুরু করেছিলেন। আর তারপর যখন তার গাছে ফুল ফোটা শুরু হয় তখন সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে থাকেন। আর সেখান থেকেই পদ্ম গাছের অর্ডার পাওয়া শুরু হয়। তিনি থাইল্যান্ড ও আমেরিকা থেকেও পদ্মের চারা এনেছিলেন।
বারান্দায় হাঁড়িতে, প্লাস্টিকের পাত্রে পদ্মের চারা লাগিয়েছেন। এরপর সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। মানুষজন ফেসবুকে সেই ছবি দেখে তার সাথে যোগাযোগ করেন। রাজু জানান যে বেশিরভাগ উত্তর ভারতে বসবাসকারী লোকেরা পদ্ম গাছের জন্য তার সাথে যোগাযোগ করেছিল। এরপর তিনি লোকের কাছে পাঠাতে শুরু করেন। নয়াদিল্লি, মুম্বাই, কলকাতা এবং পুনে, কেরালার পালাক্কাদ এবং তিরুবনন্তপুরম থেকে অনেক গ্রাহক তার বাড়িতে এসেছিলেন এবং তাদের কাছ থেকে গাছপালা এবং পাত্র কিনেছেন বলেও জানান তিনি। রাজু বলেন যে পদ্ম গাছ ১২ দিন পর্যন্ত বাঁচতে পারে এবং কন্দ অনেক বেশি দিন বাঁচে। কীভাবে উদ্ভিদের যত্ন নিতে হবে সে সম্পর্কে টিপসও দেন তিনি।
এখন পদ্ম বাগান করে মাসে প্রায় ৩০ হাজার টাকা আয় করেন তিনি। পদ্ম গাছ গাছ বিক্রি হয় ৮৫০ থেকে ৩৫০০ টাকায়। তার এই কাজের জন্য তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন তার পরিবারকে। তার বাবা-মা এবং স্ত্রীও তাকে প্রয়োজনীয় সমস্ত সহায়তা প্রদান করেছে। তিনি চাকরি খুঁজে না পেয়ে যখন এই কাজ শুরু করেন, তখন তার পরিবার তাকে সমর্থন করেন। আপনি চাইলে রাজুর সাথে তার ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমেও যোগাযোগ করতে পারেন।