চাঁদে জমি কিনতে পারবেন আপনিও, ৩৫ বছর ধরে এইভাবেই ব্যবসা হচ্ছে চাঁদে, দামও আপনার সাধ্যের মধ্যেই

ছোট থেকেই চাঁদ, সূর্য নিয়ে অনেক গল্পই শুনেছেন সকলে। তবে চাঁদ মামাকে নিয়ে মানুষের আগ্রহ অনেকটাই বেশি। চাঁদে জমি কেনার জন্য উৎসুক হয়ে পড়েন। এই তালিকায় সাধারণ মানুষ থেকে বলিউডের সেলেবরা এমনকি বিজনেসম্যানরাও রয়েছেন। আর এই চাঁদে জমি কিনতে গেলে খরচ হবে মাত্র ২ হাজার টাকা। বর্তমান সময়ে দেশে কোন জায়গা জমি কিনতে গেলে খরচ করতে হয় কয়েক লক্ষ টাকা।

এবার এই বিষয়টি নিয়ে আপনাদেরকে খোলসা করে বলছি। অনেকেরই মনে প্রশ্ন জাগছে এই চাঁদের জমি কি বিক্রি করছেন? চাঁদে জমি বিক্রি করেন লুনার অ্যাম্বাসি। এই ব্যক্তি আমেরিকার বাসিন্দা। তিনি ডেনিস হোপের সংস্থার সিইও, এই ডেনিস হোপ হল চাঁদের দূতাবাস। এখনো পর্যন্ত তিনি চাঁদের জমি বিক্রি করেছেন ৬০ লক্ষ ক্রেতাকে। ইতিমধ্যেই চাঁদের বিক্রি হয়ে গিয়েছে ৬১.১ একর জমি। এই ক্রেতাদের মধ্যে প্রায় ৭০০-র কাছাকাছি তারকা রয়েছেন।

তিনি বলেছেন যে চাঁদের সমস্ত জমির ওপর মালিকানা রয়েছে তার। এই সংস্থাটি চাঁদের সমস্ত জমির দেখাশোনা করে। তবে এই ব্যক্তি একপ্রকার আইনকে বোকা বানিয়েছেন এটা বলা যেতে পারে। এর কারণ হলো ১৯৬৭ সালের আইনে বলা হয়েছিল, যতগুলো দেশ আছে, সব দেশের সরকার সৌরজগতের কোন মহাজাগতিক বস্তুর উপর নিজের অধিকার ফলাতে পারবে না।

এই প্রস্তাবে পৃথিবীর সব দেশই সম্মতি জানিয়েছেন। আর এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে লুনার বলে, কোন ব্যক্তি যে এটা দাবি করতে পারবে না সেটার কথা উল্লেখ করা নেই। তাই তিনি জাতিসঙ্ঘের এই অসম্পূর্ণ উক্তিকেই বুদ্ধি করে কাজে লাগিয়ে নিজের জন্য চাঁদের মালিকানা দাবি করেন। এমনকি এই ব্যক্তি একটি চিঠিও পাঠান জাতিসংঘের কাছে। যদিও জাতিসংঘ তাকে কোনো উত্তর দেয়নি বলে জানা গিয়েছে। তবে তিনি ধরে নিয়েছেন মৌনতাই তাদের সম্মতির লক্ষণ।

Papiya Paul

X