নিউজ শর্ট ডেস্ক: বাংলা সিরিয়ালের (Bengali Serial) জগতে অত্যন্ত জনপ্রিয় সেলেব কাপল হলেন রুবেল দাস (Rubel Das) এবং অভিনেত্রী শ্বেতা ভট্টাচার্য (Sweta Bhattacharya)। যদিও ছোট পর্দার দর্শকদের কাছে তাঁরা সংগীত-যমুনা নামেই বেশি জনপ্রিয়। জি বাংলার সুপারহিট মেগা সিরিয়াল ‘যমুনা ঢাকি’তে একসাথে জুটি বেঁধেছিলেন তাঁরা। সেই থেকেই তাদের সম্পর্কে নতুন রঙ লাগে।
তাই ছোটবেলা থেকে বন্ধুত্ব থাকলেও এই সিরিয়ালে অভিনয়ের সূত্রেই রুবেল-শ্বেতার পর্দার প্রেম গড়ায় বাস্তবে। এখন তাদের সম্পর্কের কথা বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে ওপেন সিক্রেট। খুব শিগগিরই বিয়েও করতে চলেছেন এই জুটি। বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে বেশিরভাগ নায়ক নায়িকারা যখন তাদের সম্পর্কের কথা খোলামেলা ভাবে প্রকাশ্যে আনতে চান না, তখন সে দিক দিয়ে রুবেল একেবারে উল্টো পথের পথিক।
তাই নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে বরাবরই খোলামেলা কথা বলতেই ভালোবাসেন এই জুটি। আর এই কারণেই নিজেদের সম্পর্কের কথা কখনই অস্বীকার করেনি তারা। রুবেল যেমন শ্বেতার বিপদে-আপদে পাশে থাকেন তেমনি শ্বেতাও রুবেলের পাশে থেকে সারাক্ষণ আগলে রাখেন তাঁকে। তাই বাস্তব জীবনে খুবই মিষ্টি জুটি তাঁদের।
সোশ্যাল মিডিয়াতেও তাদের জুটিতে দেখা যায় হামেশাই। প্রসঙ্গত সদ্য গিয়েছে জি বাংলা সোনার সংসার অ্যাওয়ার্ড। সেখানেই নিম ফুলের মধুর সৃজন চরিত্রের জন্য সেরা বরের পুরস্কার ছিনিয়ে নিয়েছেন দত্ত বাড়ির বাবু অর্থাৎ অভিনেতা রুবেল দাস। যদিও সৃজন এই পুরস্কার পাওয়ায় খুব একটা খুশি নন দর্শকদের অনেকেই। কারণ সিরিয়ালে পর্ণাকে সে সারাক্ষণ অবিশ্বাস করে। আর তাই সে কি করে সেরা বর হয় তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন দর্শক।
আরও পড়ুন: শেষ পর্যন্ত সূর্যই হবে দীপার নায়ক! ফাঁস হয়ে গেল ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র মন ভালো করা পর্ব
তবে দর্শকরা মনে করেন সিরিয়ালের না হলেও বাস্তবে সেরা প্রেমিকের পুরস্কার রুবেলের হাতে উঠতেই পারে। এদিন সেরা বরের পুরস্কার হাতে নিয়ে মঞ্চ থেকে রুবেল দর্শকদের উদ্দেশ্যে বলেন ‘এই পুরস্কারটা শুধু আমার একার নয় গোটা টিমের। বরের আওয়ারটা সবার সাথে ভাগ করে নেব। তবে যখন সত্যিকারের বর হবো তখন এটা হাতছাড়া করবো না। যাইহোক থ্যাংক ইউ সো মাচ এভাবে ভালবাসবেন, দর্শকদের উদ্দেশ্যে বলছি আপনারা না থাকলে আমরা কিছুই নই। এইভাবে পাশে থাকবেন আশীর্বাদ করবেন থ্যাংক ইউ সো মাচ।’
View this post on Instagram
এরপরই মঞ্চ থেকে সঞ্চালক তথা অভিনেতা আবির চট্টোপাধ্যায় চেপে ধরেন রুবেলকে। তাঁর প্রশ্ন, ‘নিজে কী একটা বলল?’ তখন হাসি চেপে রুবেল বলে ‘আমি বেশিক্ষণ কিছুই মনে রাখতে পারি না (ভুলে যাওয়ার ভান রুবেলের)। এরপরেই আবিরের রসিকতা ‘তোমার তো শেরওয়ানি পরার খুব ইচ্ছে! তা কবে শেরওয়ানিটা পরবে ভাই?’
জবাবে লজ্জা পেয়েই রুবেল বলেন, ‘চলছে প্রস্তুতি চলছে’। তারপর হাটে হাঁড়ি ভেঙে আবির বলেই দেন, ‘এমনই খবর ভেসে এসেছে। আমাদের সোনার সংসারের প্রিয় বর খুব শিগগিরই বাস্তব জীবনেও বর হওয়ার দিকে এগিয়ে চলেছে।’ ততক্ষণে লজ্জায় লাল শ্বেতা-রুবেল দুজনেই।