দেশজুড়ে ‘পাঠান’ (Pathan) বিতর্কের মধ্যেই মুম্বইয়ে বসে এক অদ্ভুত শর্তই রেখেছন ‘পাঠান’ নির্মাতারা। বলা হয়েছে, দেশের যে যে প্রেক্ষাগৃহে ‘পাঠান’ মুক্তি পাবে, সেই সমস্ত প্রেক্ষাগৃহে অন্য কোনও ছবি চলবে না। কার্যত তারপর থেকেই শুরু হয়েছে বিক্ষোভ।
২৫ তারিখ সকালে ‘পাঠান’ আসার সাথে সাথেই নাকি একাধিক বাংলা ছবি সরিয়ে হয়েছে বলে অভিযোগ এসেছে টলিপাড়া থেকে। এমনকি যে সব ছবি সদ্য মুক্তি পেয়েছে সেগুলিকেও সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে খবর। সম্প্রতি এই বিষয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অভিনেতা সাহেব ভট্টাচার্য (Saheb Bhattacharya)।
সম্প্রতি, নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে ফেসবুক লাইভে এসে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেছেন অভিনেতা। সাহেবের জানান, মঙ্গলবার প্রেস ক্লাবে তার একটি ছবি ‘আরও এক পৃথিবী’র প্রেস কনফারেন্স ছিল। সেখানে এই ছবি নিয়ে কথা বলার সময় রীতিমত ধুয়ে দেন কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়।
সাহেবের কথায়, ‘সমস্যাটা হল মুক্তি পেতে চলেছে একটা বড় বাণিজ্যিক ছবি, শাহরুখ খানের ছবি পাঠান। পাঠান মুক্তি পাচ্ছে তাতেও আমার কোনও সমস্যা নেই, এত বছর পর শাহরুখ খানের একটা বড় ছবি আসছে, সেটা নিয়ে আশা রয়েছে ভক্তদের, আপনারা দেখবেন আমিও দেখব। সেটা নিয়ে কোনও আপত্তি নেই’।
এর সাথে তিনি আরো বলেন, ‘কিন্তু এই সিনেমার ডিস্ট্রিবিউটাররা জানিয়েছেন যে তারা সেই সিনেমা হলেই পাঠান চালাবেন যেখানে শুধুমাত্র পাঠান চলবে। অর্থাৎ গতকাল কৌশিকদার দু-খানা শো হাউজফুল যাওয়া সত্ত্বেও কৌশিকদাকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বুধবার তার সিনেমার শুধু একটাই শো থাকবে তাও দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটে এবং একশোটার কম সিট রয়েছে সেই সিনেমা হলে। কেন?’
অভিনেতার মন্তব্য, ‘সাত হাজার হলে মুক্তি পাচ্ছে ‘পাঠান’। আর মাত্র ৩০টা প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে বাংলা ছবি। ‘কাবেরী অন্তর্ধান’, প্রজাপতি-র ছবি হাউজফুল হচ্ছে। এরমধ্যে বাংলাকে মাত্র ৫টা প্রেক্ষাগৃহ দেওয়া হলে প্রযোজকেরা লাভ করবেন কোথা থেকে! একটা ভালো বাংলা ছবি তৈরি করে, ব্যবসা করে পরে আবার একটা ভালো বাংলা ছবি বানাবেন, তবেই তো ইন্ডাস্ট্রি বাড়বে’।
সাহেবের বক্তব্য, ‘পাঠান আমরা সবাই দেখব। যাদের এই ছবির জন্য ব্যবসায় ক্ষতি হচ্ছে তারাও পাঠান দেখবে। একজন সিনেমাকর্মী হিসেবে আমিও চাই শাহরুখ খানের এই ছবিটি সাফল্য পাক। কিন্তু তার জন্য বাংলা ছবি নামিয়ে নেওয়া আমার খারাপ লাগার জায়গা। প্রাইম টাইমে একটা বাংলা ছবিরও শো দেওয়া হচ্ছে না। আমি এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি’।