আরো একবার লড়াই শুরু ঐন্দ্রিলা শর্মার (Aindrila Sharma)। দুই দুইবার ক্যন্সারকে হারিয়ে অবশেষে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছিলেন নায়িকা। ধীরে ধীরে শুরু করেছিলেন অভিনয়ের কাজও। আর এর মাঝেই নেমে এল বিপর্যয়। গত মঙ্গলবার আচমকাই ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি রয়েছেন হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, এইমুহুর্তে কোমায় আচ্ছন্ন রয়েছেন অভিনেত্রী। এমতাবস্থায় নায়িকার প্রেমিক তথা অভিনেতা সব্যসাচী তো ভেঙে পড়েছেনই সাথে সাথে ভেঙে পড়েছেন তার পরিবার পরিজনরাও। সম্প্রতি ঐন্দ্রিলার অবস্থা নিয়ে মুখ খুলেছেন তার মা। জানা গেছে, সবাই হাসপাতালে থাকলেও এখন তিনি একাই রয়েছেন বাড়িতে।
অভিনেত্রীর মায়ের কথায়, ‘বহরমপুরের ইন্দ্রপ্রস্থে আমাদের বাড়িটা এখন ফাঁকা। আমি এখন টালিগঞ্জে আছি। এই বাড়িতে আমি ছাড়া আর কেউ নেই। আমার মনে পড়ছে, ছোটবেলায় কত ছটফটে ছিল ঐন্দ্রিলা। কিন্তু, এখন মেয়েটার উপর এত ঝড়ঝাপটা যাচ্ছে যে, মা হিসাবে আমি আর মেনে নিতে পারছি না।’
তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, গতকাল রাত ১১টা ৫৫ নাগাদ নাকি চোখ খুলেছিল ঐন্দ্রিলা। এই প্রসঙ্গে অভিনেত্রীর মা জানান, ‘নানা দুর্ভাবনার মধ্যেই আজ সকালে একটা ভাল খবর পেয়েছি। ওকে দেখছেন চিকিৎসক নিলয় বিশ্বাস। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওর জ্ঞান ফিরেছে এটা চিকিৎসকরাও বিশ্বাস করতে পারছেন না। এটাই ভালো খবর, এটাই যেন হয়ে থাকে’।
পাশাপাশি তিনি আরো বলেন, ঐন্দ্রিলা বলতো যে তাকে অনেক কাজ করতে হবে। তাকে নাকি অনেক বড়ো হতে হবে। ‘ ও সমাজসেবা করতে চাইত। আমার মেয়ে বহরমপুরে অনাথ আশ্রম করবে বলে স্থির করেছিল। কিন্তু, আচমকা সব যেন থমকে গেল। যে দিন মেয়েটা অসুস্থ হয়ে পড়ল, সে দিন ও প্রথমে আমাকে বলল, ‘‘মা, আমার ডান হাত উঠছে না।’’ তার পর দেখলাম, ওর ডান পাটা নড়ছে না। বলতে বলতে ৫-৭ মিনিটের মধ্যে ওর গোটা দেহে পক্ষাঘাত হল। ও বমি করতে শুরু করল’।
এরপর খবর পেয়ে ছুটে আসেন সব্যসাচী। তিনিই ঐন্দ্রিলাকে ভর্তি করেন হাসপাতালে। মেয়ের প্রেমিকের কথা বলতে গিয়েও গলা বুজে এলো ঐন্দ্রিলার মায়ের। তিনি বলেন, ‘গত তিন দিন ধরে হাসপাতালেই পড়ে আছে ছেলেটা। ও এখন পাগলের মতো হয়ে গিয়েছে। জানি না ও কী খাচ্ছে বা স্নান করছে কি না। আমার স্বামী বললেন, ও হাসপাতালের একটা জায়গায় পড়ে আছে’।
