সত্যজিৎ রায়ের সোনার কেল্লা দেখেননি এমন বাঙালি এই পশ্চিমবঙ্গে বিরল। তাঁর কালজয়ী সৃষ্টিগুলির মধ্যে অন্যতম সেরা হলো এই সোনার কেল্লা। আজও বাঙালি নিজেদের স্মৃতি হাতড়ালে খুঁজে পাবে এই ছবিকে। ১৯৭৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবিতে ফেলুদার পাশাপাশি আরও একটি চরিত্র সকলের নজর কেড়েছিলো, সে হলো বছর ছয়েকের খুদে মুকুল ওরফে কুশল চক্রবর্তী। আজ দীর্ঘ ৫০ বছর পর মুকুল ওরফে কুশল চক্রবর্তীর হাত ধরেই আবার পর্দায় আসতে চলেছে সোনার কেল্লা।
১৯৭১ সালে সত্যজিৎ রায়ের লেখা ফেলুদা গল্পেরই একটি অংশ হলো সোনার কেল্লা। পরবর্তীকালে এই গল্পকেই সিনেমা হিসেবে পর্দায় উপস্থাপিত করেন সত্যজিৎ রায়। গল্পে ফেলুদার সাথে মুকুল নামে আরেকটি চরিত্রের দেখা মিলেছিলো। সেই সময় কুশল চক্রবর্তী মুকুলের চরিত্রে অভিনয় করে তাক লাগিয়েছিলেন দর্শকদের। এই ছবির পরই শিশু শিল্পী হিসেবে তার ব্যপক খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে ইন্ডাস্ট্রিতে। এবার সেই মুকুল অর্থাৎ কুশলের হাত ধরেই তৈরি হতে চলেছে সোনার কেল্লা’র সিক্যুয়েল।
গত শুক্রবারই এই ঘোষণা করেছেন অভিনেতা নিজেই। জানিয়েছেন ইতিমধ্যেই অনুমতিও নিয়ে ফেলেছেন সন্দীপ রায়ের থেকে। ছবির অভিনেতা-অভিনেত্রী হিসেবে কাদের চূড়ান্ত করা হচ্ছে সে বিষয়ে কিছু না জানা গেলেও, পরিচালক হিসেবে থাকছেন তিনিই, এই বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন কুশল। এছাড়াও মুকুলের ভূমিকাতেও তিনিই থাকবেন। অভিনেতা জানিয়েছেন, ‘সোনার কেল্লার সন্ধানে: অ্যা হান্ট আফটার ফরটি ইয়ার্স’ নামক সিক্যুয়েলটিতে মূলত দেখানো হবে মুকুল এবং তার ছেলের গল্প।
তবে সোনার কেল্লার সিক্যুয়েল হলেও গল্পে রয়েছে একটা ছোট্ট টুইস্ট। এই ছবিতে দেখা যাবেনা ফেলুদাকে। মুকুল এবং তার ১০-১২ বছর বয়সী ছেলেই এই গল্পের মূখ্য চরিত্র। তবে মুকুলের ছেলের চরিত্রে কে অভিনয় করবে তা এখনও জানা যায়নি। প্রয়াত কিংবদন্তি সত্যজিৎ রায়ের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের উদ্দেশ্যেই এই সিক্যুয়েল নিয়ে হাজির হতে চলেছেন অভিনেতা কুশল চক্রবর্তী।