হঠাৎ একটা দমকা হাওয়া আর সবকিছু এলোমেলো। গত মঙ্গলবার হঠাৎ ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার পর দীর্ঘদিন ধরে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছিলেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। এর আগেও একবার নয়, দু-দু’বার মারণ রোগ ‘ক্যান্সার’ থাবা বসিয়েছিল ঐন্দ্রিলার শরীরে। দু’বারই সবকিছুকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে হাসিমুখে ফিরে এসেছিলেন। তবে এইবার আর জেতা সম্ভব হলনা।
শেষ বার ব্রেন-স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার পর মস্তিস্কে অস্ত্রপচার করেছিলেন চিকিৎসকরা। মাঝে ডাক্তাররা জবাব দিলেও গতকাল সাড়া দিয়েছিল ঐন্দ্রিলার শরীর। এমতাবস্থায় আত্মীয় ও অনুরাগীদের আশা জন্মাচ্ছিল, হয়তো এই বার চেতনা ফিরবে তাঁর। কিন্তু তারপরই আবার হার্ট অ্যাটাক।
বারবার হার্ট অ্যাটাকে ঝাঁঝরা করে দেয় ঐন্দ্রিলার শরীর। সকলের প্রার্থনা, চিকিৎসকদের হাতযশ সবকিছু বিফলে করে দিয়ে চলে গেলেন তিনি। শত চেষ্টা করেও চিকিৎসকরা কোমা থেকে ফেরাতে পারলেন না তাঁকে। সবাইকে কাঁদিয়ে ঐন্দ্রিলার গন্তব্য এখন না ফেরার দেশে।
প্রসঙ্গত, বাংলা টেলিভিশনে ‘ঝুমুর’ ধারাবাহিকের হাত ধরে অভিনয় জগতে পা রেখেছিলেন তিনি। এরপর সুযোগ আসে স্টার জলসার ‘জীবন জ্যোতি’ ধারাবাহিকের মূখ্য ভূমিকায় অভিনয় করার জন্য। তবে পরিচিতি লাভ করেন সান বাংলার ‘জিয়ন কাঠি’র হাত ধরে। সেই পর্দার তুলিকে আজও মনে রেখেছে মানুষ।
কিন্তু দূর্ভাগ্যের করাল গ্রাস কখন কার উপর থাবা বসায় তা কেউ বলতে পারেনা। শরীরে বাসা বাঁধে মারণ রোগ ‘ক্যান্সার’। তাও আবার একবার নয়, দু-দু’বার। তবে দুবারই ক্যান্সারকে নক আউট করে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। এমনকি সুস্থ হয়ে কাজেও মন দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তারপরেই আবার একটা ঝটকা আর সব শেষ।
নভেম্বরের প্রথম দিনটাতেই ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন তিনি। হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ঐন্দ্রিলাকে। রাতেই করা হয় অস্ত্রপচার। তারপর থেকেই কড়া পর্যবেক্ষণে ভেন্টিলেশনে রাখা হয় তাকে। কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ। দীর্ঘ ১৯ দিনের লড়াইয়ের পর অবশেষে ঢলে পড়লেন মৃত্যুর কোলে।