পার্থ মান্নাঃ সময়ের সাথে যেমন প্রযুক্তির উন্নতি হয়েছে তেমনি ভারতীয় রেলেও এক সে এক নতুন ট্রেনের সংযোজন হয়েছে। একসময় শতাব্দী এক্সপ্রেস, তেজস এক্সপ্রেস ছিল প্রিমিয়াম ট্রেন। তবে এখন সেই ছবি পাল্টে গিয়েছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু হয়েছে। আর এবার জানা গেল রেলের মুকুটে নতুন পালক জুড়ে চালু হতে চলেছে এয়ার ট্রেন। হ্যাঁ এবার আরও অত্যাধুনিক টেকনোলজির ট্রেন চালু হবে ভারতবর্ষে।
এয়ার ট্রেন কি?
নামের মধ্যেই অর্থ লুকিয়ে আছে। আসলে বিমান বন্দরের মধ্যে এক টার্মিনাল থেকে অন্য টার্মিনালে যাতায়াতের জন্য ফ্রীতেই বাস পরিষেবা পাওয়া যায়। তিনি বাসের বদলে যদি স্পেশাল ট্রেন সার্ভিস চালু করা হয় তখন তাকে বলা হয় এয়ার ট্রেন। অবশ্য এই ট্রেনে নিকটবর্তী কিছু শহরেও যাওয়া যায়। যারা প্লেনে বিদেশে ভ্রমণ করেছেন তারা হয়তো অনেকেই এই ট্রেনে চাপার অভিজ্ঞতা পেয়েছেন ইতিমধ্যেই। বিদেশের একাধিক এয়ারপোর্টে এই ফেসিলিটি চালু আছে।
যেমনটা জানা যাচ্ছে সব ঠিক থাকলে কয়েক বছরের মধ্যেই ভারতের আইরপোর্টেও এয়ার ট্রেন চলতে দেখা যাবে। কোথায় চালু হতে পারে প্রথম এয়ার ট্রেন? উত্তরে জানা যাচ্ছে দিল্লির আন্তর্জাতিক ইন্দিরা গান্ধী এয়ারপোর্টে প্রথম এয়ার ট্রেন পরিষেবা চালু হবে।
ভোল পাল্টে যাবে দিল্লি এয়ারপোর্টের
বর্তমানে দিল্লি এয়ারপোর্টে টার্মিনাল ১ থেকে টার্নিমান ২ বা টার্মিনাল ৩ তে যাতায়াতের প্রয়োজন হল লম্বা জ্যামের মুখে পড়তে হয়। অনেক সময় শুধুমাত্র ঠিক টার্মিনালে সঠিক সময় পৌঁছাতে না পাড়ার জন্য প্লেন মিস হয় যাত্রীদের। তাই দীঘদিন ধরেই বিকল্প ব্যবস্থার খোঁজ চলছিল। এয়ার ট্রেন পরিষেবা চালু হলে এক টার্মিনাল থেকে অন্য টার্মিনালে যেতে কয়েক মিনিট সময় লাগবে মাত্র।
মোট ৭.৭ কিমি লম্বা এয়ার ট্রেনের যাত্রা পথে টার্মিনাল ১, টার্মিনাল ২, টার্মিনাল ৩ ও কার্গো সিটি স্টেশন থাকবে। যার ফলে যাত্রীরা তো বটেই মালপত্র বা প্লেনের লাগেজ ট্রান্সপোর্টের সমস্যারও সমাধান হয়ে যাবে।
এয়ার ট্রেন তৈরিতে কত টাকা খরচ হবে?
ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পের জন্য টেন্ডার ডাকা হয়েছে। অক্টোবর থেকে নভেম্বর মাসের মধ্যেই নিলাম শুরু হবে বলে মনে করা হচ্ছে। আনুমানিক প্রায় ২০০০ টাকা খরচ হবে এয়ার ট্রেন তৈরির জন্য। আর সব ঠিক থাকলে আগামী ২০২৭ সালের মধ্যেই কাজ শেষ হয়ে যাবে আর যাত্রীরা এয়ার ট্রেনে চেপে একটার্মিনাল থেকে অন্যটিতে যেতে পারবেন খুব সহজেই।