টলিউড (Tollywood) দুনিয়ার মাসল ম্যান তিনি। তিনি আবার সকলের কাছে ‘ফেলুদা’। শরীর চর্চার দিকে ভীষণ খেয়াল রাখেন এই অভিনেতা। তিনি আর অন্য কেউ নন, তিনি টোটা রায় চৌধুরী (Tota Roy Choudhury)। নানান চরিত্রের জন্য নিজেকে তৈরী করে ফেলেছেন এই অভিনেতা। একটা সময় টলি জগতে রাজত্ব করেছেন তিনি। ‘দার্জিলিং-এ জমজমাট’ ছবিতে স্টান্ট করতে দেখা গিয়েছে এই অভিনেতাকে।
সম্প্রতি পুরোনো স্মৃতি হাতড়ে তাঁর অভিনীত পুরোনো একটি সিনেমার ছবি তিনি তুলে ধরেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। করেছেন লম্বা চওড়া পোস্ট। অঞ্জন চৌধুরী পরিচালিত ‘নাচ নাগিনী নাচ রে’ ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। সেখানেও তাঁকে করতে হয়েছিল বেশ কিছু স্টান্ট। আর তার এহেন কান্ড দেখে চমকে গিয়েছিলেন কোরিওগ্রাফার, ওমপ্রকাশ। পুরোনো সেই স্মৃতি হঠাৎ মনে পড়েছে অভিনেতার।
সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, ‘ পুরোনো ফাইল হাতড়ে পাওয়া গেল এই ছবিটি। এটি ‘নাচ নাগিনী নাচ রে’ চলচ্চিত্রের স্থিরচিত্র। বক্স অফিসে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিলো এই ছবি। পরিচালনায় ছিলেন প্রবাদপ্রতিম চিত্রনাট্যকার এবং সুপারহিট ডিরেক্টর, শ্রী অঞ্জন চৌধুরী। গানের শুটিং চলছিল জোকা ছাড়িয়ে একটি রিসর্টে। নৃত্য নির্দেশনায় ছিলেন মুম্বাইয়ের কোরিওগ্রাফার, ওমপ্রকাশ’।
অভিনেতা আরও লেখেন, ‘ ওমপ্রকাশ জি ভীষণ হাসিখুশি একজন মানুষ। জোরকদমে চলছিল ছবির শুটিং। হঠাৎ করেই তাঁর মনে হল হাঁটু গেড়ে বসে থাকা নায়িকার, অর্থাৎ চুমকি চৌধুরীর, মাথার ওপর দিয়ে যদি গোলকিপারের মত ডাইভ মেরে শরীরটা শূন্যে ভাসিয়ে দিয়ে হাতের ওপর পড়েই ডিগবাজি খেয়ে উঠে দাঁড়াই তাহলে অসাধারণ হবে। সেদিন শুটিং ফ্লোরে উপস্থিতত ছিলেন না অঞ্জনদা। আমাকে হরোদা ফিসফিস করে বলে গেলেন, ‘ডাইভ মারিস না। আশেপাশে হাসপাতাল নেই!’
অভিনেতার সংযোজন, ‘আমিও মনে মনে ভাবতে শুরু করলাম কি করা যায়। টানা শুটিং চলবে, সত্যিই যদি চোটজনিত কারণে শিডিউল ভেস্তে যায় তাহলে প্রযোজককে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে এবং সেটার জন্য মূলত আমাকেই দায়ী করা হবে’। এরপরেই হতাশ হয়ে ওমজি বললেন থাক এইসব করতে হবে না। আজ যদি এখানে অক্ষয় কুমার উপস্থিত থাকত তাহলে তাঁকে এতো ভাবতে হতোনা। এককথায় সে রাজি হয়ে যেত’।
এরপরেই নাকি অভিনেতা ঠিক করেন এই শট তিনি করবেন। টোটা তাঁর পোস্টে লেখেন, ‘ বাঙালিরা কিছুতেই হেরে যেতে পারে না এটা ভেবে আমি শর্ট দিলাম। কারোর বারণ আমি শুনিনি। আমার শট ওমজি ছুটে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে বললেন ‘অসাধাসারণ’। একেবারে যেমনটা চেয়েছিলাম তেমনটাই হয়েছে’।
মাত্র কয়েকদিন আগেই নাকি মুম্বাই এয়ারপোর্টে ওমপ্রকাশ জির সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছিল টোটার। তাঁকে বাংলার অক্ষয় কুমার বলে সম্বোধন করেছিলেন কোরিওগ্রাফার। কিন্তু অভিনেতা মাথা নাড়িয়ে জবাব দিয়েছিলেন, ‘অক্ষয় হতে আর কোথায় পারলাম’।