বলিউড অভিনেত্রী ‘আলিয়া ভাট’, পরিচয়ের জন্য এই নামটুকুই যথেষ্ট। এইমুহুর্তে সিনে দুনিয়ার সবচেয়ে সফল এবং জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম তিনি। কিউট চেহারার পাশাপাশি অনবদ্য এবং মনোমুগ্ধকর অভিনয় দিয়ে লাখো মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। স্টারকিড হওয়ার সুবাদে পাওয়া সুযোগের সদ্ব্যবহার যদি কেউ করতে পেরেছে তা একমাত্র আলিয়া ভাট।
অভিনেত্রীর কেরিয়ারের কথা বললে, সাল ২০১২ তে ‘স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার’ ছবির হাত ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। সেইসময় তার দূর্বল অভিনয় আর লো আইকিউ-এর জন্য ব্যাপক ট্রোলড হয়েছিলেন আলিয়া। তবে সমস্ত নেগেটিভিটি, ট্রোলিং-কে উপেক্ষা করে একের পর এক ব্লকবাস্টার ছবি উপহার দিয়েছেন সিনেমাপ্রেমীদের।
আলিয়ার কেরিয়ারের সাথে জড়িত কয়েকটি সফল চলচ্চিত্রের কথা বললে তালিকার প্রথমেই আসবে, বদ্রিনাথ কি দুলহানিয়া, রাজি, ডিয়ার জিন্দেগি, উড়তা পাঞ্জাব, গাঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়ি এবং হাইওয়ের মতো চলচ্চিত্রের নাম। এছাড়াও অভিনেত্রীর বহুল প্রতীক্ষিত চলচ্চিত্র ‘ব্রহ্মাস্ত্র’, যেটি সবেমাত্র ৯ সেপ্টেম্বর মুক্তি পেয়েছে। সেটিও সফলতার দিকেই পা বাড়াচ্ছে।
ফোর্বস-এর রিপোর্ট অনুসারে, আজ আলিয়া ভাটের মোট সম্পদ প্রায় ৫১৭ কোটি টাকা। বর্তমানে এক একটি ছবির জন্য প্রায় ১৫ থেকে ১৮ কোটি নিয়ে থাকেন তিনি। এমতাবস্থায় তার সম্পত্তির পরিমাণ যে গগনচুম্বী হবে তা বলাই বাহুল্য। তবে আপনি কি জানেন অভিনয় ছাড়াও আলিয়ার আরো অনেক আয়ের উৎস আছে। যেখান থেকে অভিনেত্রী প্রচুর আয় করেন।
জানিয়ে রাখি, চলচ্চিত্র ছাড়াও অভিনেত্রীর একটি পোশাকের ব্র্যান্ড রয়েছে যা বর্তমানে ৭ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের জন্য পোশাক তৈরি করে। আলিয়া এই ব্র্যান্ডটি চালু করেন গত বছর এবং যার বর্তমান মূল্য ১৫০ কোটি টাকা। পোশাকের ব্র্যান্ড ছাড়াও, আলিয়া ভাট ‘ইটারনাল সানশাইন প্রোডাকশন হাউস’ নামে একটি নিজস্ব প্রোডাকশন হাউসও চালু করেছিলেন, যার ব্যানারে কয়েকদিন আগেই মুক্তি পেয়েছে ‘ডার্লিংস’।
পাশাপাশি, এসব ছাড়াও আলিয়া Nykaa ফ্যাশন ব্র্যান্ড থেকে শুরু করে phool.co-এর মতো কোম্পানিতে প্রচুর বিনিয়োগ করেছেন। জানিয়ে রাখি, এখান থেকে একটা মোটা অঙ্কের মুনাফা অর্জন করে এই অভিনেত্রী। এছাড়াও বিভিন্ন ব্র্যান্ড প্রমোশন করার জন্যেও মোটা টাকা পারিশ্রমিক নেন আলিয়া।