নিউজ শর্ট ডেস্ক: বাঙালির কাছে আবেগের আরেক নাম মহানায়ক উত্তম কুমার (Uttam Kumar)। মৃত্যুর এত বছর পরেও প্রত্যেক বাঙালির মনেই তাঁর উজ্জ্বল উপস্থিতি। দীর্ঘদিনের অভিনয় জীবনে অগণিত সুপার হিট বাংলা সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। ইন্ডাস্ট্রিতে কারো কাছে তিনি পরিচিত ছিলেন দাদা তো কারোর কাছে তিনি ছিলেন জেঠু তো কারও কারো কাছে তিনি ছিলেন অত্যন্ত শ্রদ্ধার একজন মানুষ।
তবে ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর সাথে সবসময় অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের নাম জুড়ে দিয়ে এক অদৃশ্য রেষারেষি টানতেন দর্শকরাই। কিন্তু বাস্তবে তাঁদের মধ্যে ছিল এক দারুন বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। কিন্তু জানলে অবাক হবেন এই উত্তম কুমারই তাঁর একমাত্র ছেলে গৌতম চট্টোপাধ্যায়ের বিয়েতে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে (Soumitra Chatterjee) ডেকে এনেও খেতে দেননি।
এমনিতে চট্টোপাধ্যায় বাড়িতে অতিথি আপ্যায়নের বিষয়ে কমবেশি জানেন সকলেই। আসলে বাড়িতে অতিথি এলে বরাবরই তাদের খাতির যত্নের কোন ত্রুটি রাখতেন না মহানায়ক। তাহলে আদরের পুলুর সাথে সেদিন কেন এমনটা করেছিলেন তিনি? আসলে জানা যায়, উত্তম কুমার শুধুই যে অতিথি আপ্যায়ন করতেন তাই নয়, সেই সাথে তাঁদের শরীর-স্বাস্থ্যেরও খেয়াল রাখতেন।
ছেলের বিয়ের দিনেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আসলে উত্তম কুমারের ছেলের বিয়ের দিন শরীরটা ভালো ছিল না, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় বেশ কষ্ট পাচ্ছিলেন তিনি। তাই সেদিন একমাত্র ছেলের বিয়েতে স্নেহের পুলুকে জড়িয়ে ধরে অভ্যর্থনা জানালেও খাবারের ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েই তাঁকে শুধু দই মিষ্টি খেতে দিয়েছিলেন মহানায়ক।
আরও পড়ুন: সিরিয়ালের মায়ের চরিত্রে একাই একশো অপরাজিতা! বাস্তবে আজও শোনা হল না ‘মা’ ডাক
কী ঘটেছিল সেদিন?
সেদিন তাঁরা একসঙ্গে বসে বেশ খানিক ক্ষণ গল্প করেছিলেন। কিন্তু, খাওয়ার প্রসঙ্গ উঠতেই সৌমিত্রকে থামিয়ে দিয়ে তিনি সটান বললেন, ‘এই না! পুলুর শরীর খারাপ হবে। এখন ও এসব খাবে না।’ এরপরেই অবশ্য সৌমিত্রর দিকে তাকিয়ে তিনি বলেন, ‘পুলু দই মিষ্টি খাবি তো?’ সেদিন দাদা উত্তমকে আর না বলেননি সৌমিত্রও।