all you need to know about arijit singh educational qualification

Moumita

কতদূর অব্দি পড়েছেন অরিজিৎ সিং? গায়কের শিক্ষাগত যোগ্যতা সত্যিই চমকে দেওয়ার মতোই

Arijit Singh`s Educational Qualification : এই মুহূর্তে দেশের সমস্ত মিডিয়ার নজর রয়েছে অরিজিৎ সিং-র (Arijit Singh) উপর। এমনিতে তাকে নিয়ে চর্চা তো চলেই তবে এখন তিনি লাইমলাইটে এসেছেন ‘পাসুরি’ (Pasoori) গানটির জন্য। মুর্শিদাবাদের এই গায়ককে অনেকেই ‘হিট মেশিন’ তকমাও দিয়েছেন। তবে জানেন কি এই জনপ্রিয় গায়ক ছাত্র হিসেবে কেমন ছিলেন? আজকের প্রতিবেদনে সেটাই জানাবো আপনাদের।

   

অনেকেই হয়ত জানেননা যে গানের পাশাপাশি পড়াশোনাতেও তুখোড় ছিলেন অরিজিৎ(Arijit Singh)। ‘মন মর্জিয়া’ গায়কের শিক্ষাগত যোগ্যতা শুনলে চমকাবেন আপনিও। জানা যায়, মুর্শিদাবাদের বিজয় সিং হাইস্কুলে (Raja Bijoy Singh High School) পড়াশোনা করেছেন অরিজিৎ। বিদ্যালয়ের পড়া শেষ করে ভর্তি হন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের (Kalyani University) অন্তর্গত রাজা শ্রীপত সিং কলেজে (Sripat Singh College)।

এখান থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করার পর আর উচ্চশিক্ষার চেষ্টা করেননি তিনি। কারণ পড়াশোনায় ভালো হলেও তার ঝোঁক ছিল সঙ্গীতের প্রতি। কারণ সঙ্গীতের নেশাটা তার ছোট থেকেই ছিল। ছেলের এই পছন্দের বিরোধীতা করেনি তার বাবা-মা’ও। ছেলের ইচ্ছেকে সম্মান করেছিলেন গায়কের বাবা-মা।

খুব অল্প বয়সে শাস্ত্রীয় সঙ্গীত, রবীন্দ্র সঙ্গীত, তবলা বাজানো এবং পপ সঙ্গীতের চর্চা শুরু করেছিলেন তিনি। শিক্ষা নিয়েছিলেন রাজেন্দ্র প্রসাদ হাজারি, ধীরেন্দ্র প্রসাদ হাজারি এবং বীরেন্দ্র প্রসাদ হাজারি। পাশাপাশি সাইকেল চালানো, বাংলা গল্প এবং উপন্যাস পড়া এবং ফটোগ্রাফি ছিল তার হবি।

তবে অরিজিৎ-র ভাগ্য বদলে দেয় ‘ফেম গুরুকুল’। মাত্র ১৮ বছর বয়সে এই শো-তে অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি। যদিও তিনি প্রতিযোগিতায় জিততে পারেনি। তবে শো জিততে না পারলেও জিতেছিলেন দেশবাসীর মন। সঙ্গীত চর্চা শুরু হয়েছিল জোরকদমে। আর তার ফলাফল আজকের জনপ্রিয় ‘অরিজিৎ’।

Arijit Singh,Arijit Singh Educational Qualification,Singing,Song,Bollywood,India,Entertainment,Gossip,Music,অরিজিৎ সিং,অরিজিৎ সিং-র পড়াশোনা,গান,বলিউড,ভারত,বিনোদন,গসিপ

আসমুদ্র হিমাচল তার গায়কীর ভক্ত। তবুও তার কোন অহঙ্কার নেই। এত জনপ্রিয়তা, সাফল্য সত্ত্বেও অরিজিৎ কিন্তু মাটির মানুষ হয়েই থেকে গিয়েছেন। মুম্বইয়ের প্রাসাদপ্রম বাড়ি ছেড়ে জিয়াগঞ্জের বাড়িতেই থাকেন তিনি। আর পাঁচটা মানুষের মত স্কুটিতেই ঘোরাফেরা করেন তিনি। আর তার এই সারল্যতাই সাধারণের মধ্যে দিয়ে অসাধারণ করে তুলেছে।