নিউজ শর্ট ডেস্ক: সময়ের সাথে সাথে প্রতারণার (Scam) করার ধরণ এবং মাধ্যমে বদলে ফেলছেন প্রতারকরা। তাই এখনকার এই ডিজিটাল দুনিয়ায় প্রতারকদের প্রতারণার অন্যতম জনপ্রিয় হাতিয়ার হলো সাধারণ মানুষের ইমেইল আইডি (E-mail Id)। যদিও এই বিষয়ে অধিকাংশ মানুষই নিজেদের ইমেল আইডি নিয়ে সেভাবে কোনো সতর্কতা অবলম্বন করেন না।
আর তাই সেই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে অনেকেই ইমেলের মধ্যেই পেতে রাখে প্রতারণার ফাঁদ। একটু খেয়াল করলেই দেখা যাবে এই ইমেইল আইডি গুলিতে হামেশাই বিভিন্ন অচেনা মেল আইডি থেকে লিঙ্ক পাঠানো হয়ে থাকে। অসাবধানবশত এই সমস্ত লিংকে ক্লিক করে ফেললেই ব্যাস ঘটে যায় ব্যাঙ্ক জালিয়াতির (Bank Fraud) মতো বড়সড় বিপদ।
এখানে বলে রাখি এবারব থেকে যেখানে সেখানে মেল আইডি দেওয়ার আগে আরও বেশি সাবধানতা অবলম্বন করা দরকার। কারণ সব জায়গায় না বুঝে মেল্ আইডি দিয়ে দিলে তা অনেকসময় বিভিন্ন মার্কেটিং সংস্থার কাছেও চলে যায়। তাছাড়া এমন বহু মার্কেটিং সংস্থা আছে যারা বিভিন্ন ওয়েবসাইট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে টাকা দিয়ে বেআইনি ভাবে বহু মানুষের মেল আইডি কিনে নেন।
এই ভাবে গোপনে বেআইনি পদ্ধতিতে কেনা সাধারণ মানুষের মেল আইডি চলে যায় হ্যাকারদের কাছে। আর তারপর সেই আকাউন্ট হ্যাক করেই তারা ব্যাংক ডিটেলস পর্যন্ত জেনে নিতে পারে।
আরও পড়ুন: সন্তানের ভবিষ্যত রাখুন সুরক্ষিত, টাকা জমান এই অ্যাকাউন্টে, থাকবেন চিন্তা মুক্ত!
প্রতারকরা কিভাবে ইমেইল আইডি হ্যাক করে?
হ্যাকাররা ব্রুট ফোর্স মেথড ব্যবহার করেই ই মেল অ্যাটাকের কাজগুলি করে থাকেন। এই ব্রুট ফোর্স মেথড পাঁচ রকমের।
১) প্রথম পদ্ধতি অর্থ্যাৎ Simple brute force attacks। অনেকেই নিজের পরিবারের কারও নাম দিয়ে তার সঙ্গে কয়েকটি সংখ্যা যোগ করে দিয়ে থাকেন।এক্ষেত্রে হ্যাকাররা ব্যবহারকারীর সোশ্যাল মিডিয়ায় নজর রেখে বিভিন্ন ধরনের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করেন। আর সেখান থেকেই পাসওয়ার্ড আন্দাজ করার চেষ্টা করে। আসলে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করে ট্রায়াল অ্যান্ড এরর পদ্ধতিতে পাসওয়ার্ড খোলার চেষ্টা করে হ্যাকাররা।
২) এরপরে আছে Dictionary attacks। এক্ষেত্রে বর্ণমালার সমস্ত অক্ষর এবং সমস্ত নম্বরকে পারমুটেশন কম্বিনেশন করে পাসওয়ার্ড হ্যাক করার চেষ্টা করা হয়।
৩) এটি হল হল Hybrid brute force attacks। এটি Simple attacks আর Dictionary attacks এর কম্বিনেশন। এক্ষেত্রে হ্যাকাররা একই সঙ্গে দুই ভাবে চেষ্টা করে পাসওয়ার্ড হ্যাক করার।
৪) এরপরে আছে Reverse brute force attacks। এই চতুর্থ ধাপে কয়েকটি কমন পাসওয়ার্ড আগে থেকে বেছে নেওয়া হয়। এবং তারপর খোঁজার চেষ্টা করে সেই পাসওয়ার্ড গুলি কোন কোন ইমেল আইডিতে আছে।
৫) একেবারে শেষে আছে Credential stuffing। এই পদ্ধতিতেও হ্যাকাররা পাসওয়ার্ড হ্যাক করতে সক্ষম হয়।
জালিয়াতির হাত থেকে মুক্তি পাবেন কিভাবে?
এই সমস্ত জালিয়াতি থেকে বাঁচার জন্যএকাধিক মেল আইডি ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। আর বলা হচ্ছে সব জায়গায় আলাদা আলাদা মেল আইডি ব্যবহার করতে। এছাড়াও অজানা কোন সাইটে নিজের মেল আইডি না দেওয়াই উচিত বলে মনে করা হয়। আর পাসওয়ার্ড তৈরির সময় আলফা-নিউমারিক উইথ স্পেশাল ক্যারেকটারস এর সাহায্য নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে।