নিউজ শর্ট ডেস্ক: শীতকাল মানেই গুড় পাটালির মরশুম। এই সময় বাঙালি বাড়িতে যেমন নতুন গুড়ের পায়েস থেকে শুরু করে হরেক রকম স্বাদের পিঠের তৈরি হয় তেমনি এই সময় এই দোকানে বিক্রি হয় গুড়ের রসগোল্লা-সন্দেশ। আবার এই সময়েই গুড়ের সঙ্গে খই পাক করে তৈরি করা হয় বাংলার সর্বকালের সেরা ক্লাসিক মিষ্টি শীতের মোয়া।
তাই শীতকাল মানেই সোয়েটার কম্বলের সাথেই হাত ধরাধরি করে আসে, হরেক রকম মিষ্টির সম্ভার। বিশেষ করে বাঙালির অতি পরিচিত মাখা সন্দেশের স্বাদ যেন শীতকালে আরও দ্বিগুণ বেড়ে যায়। নরম তুলতুলে এই মাখা সন্দেশ মুখে দেওয়া মাত্রই মিলিয়ে যায় নিমেষে। তাই আজ আপনাদের জন্য থাকছে একেবারে ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি নতুন গুড়ের মাখা সন্দেশ তৈরির একটি অসাধারণ রেসিপি।
নতুন গুড়ের মাখা সন্দেশ তৈরির উপকরণ:-
৩০০-৪০০ গ্রাম ছানা, ৩০০ গ্রাম দুধ,এককাপ গুঁড়ো দুধ, ১৫০ গ্রাম নলেন গুড়,ঘি,আমন্ড কুচি।
নতুন গুড়ের মাখা সন্দেশ তৈরির পদ্ধতি :-
প্রথমে ৩০০-৪০০ গ্রাম ছানা একটি মিক্সিং বোলে নিয়ে খুব ভাল করে মেখে ছানার ডো তৈরি করে নিতে হবে। এবার এই ছানার মধ্যেই ৩০০ গ্রাম দুধ দিয়ে ভাল খুব ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। একইসাথে ওই মিশ্রনে এককাপ গুড়ো দুধ দিয়ে ভাল করে ফেটিয়ে নিতে হবে।
এরপর ছানা আর দুধের ওই মিশ্রণে আবারও ১৫০ গ্রাম নলেন গুড় দিয়ে ভাল করে ফেটিয়ে নিতে হবে। এবার একটা ফ্রাইং প্যান গরম করে তাতে এক চামচ ঘি বুলিয়ে নিতে হবে। এবার ওই প্যানের মধ্যে দুধ ছানার মিশ্রণ ঢেলে নিয়ে ভাল করে নাড়াচাড়া করে মিশ্রণটাকে ঘন করে নিতে হবে।
আরও পড়ুন: বিনামূল্যে রেশন পরিষেবা বন্ধ! এই উপভোক্তারা আর পাবেন না ফ্রিতে রেশন!
ধীরে ধীরে মিশ্রণ ঘন হতে শুরু করলে রং পরিবর্তন হবে সন্দেশের। এইভাবে সন্দেশ শুকনো হতে শুরু করলে গ্যাস অফ করে দিতে হবে। তবে সন্দেশ খুব বেশি শুকনো করা যাবে না। এরপর একটা কেক মোল্ডে বাটার পেপার দিয়ে তার উপর এই ছানার মিশ্রণ ঢেলে ঠান্ডা করে নিতে হবে। এইভাবেই ৪-৫ ঘণ্টা রাখলেই তৈরি হয়ে যাবে মাখা সন্দেশ।
এইভাবে খুব সহজেই একেবারে ঘরোয়া পদ্ধতিতে মাখা সন্দেশ তৈরী হওয়ার পর উপর থেকে ঝোলা গুড় আর অল্প করে আমন্ড কুচিও ছড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে। এতে মাখা সন্দেশের স্বাদ দ্বিগুণ বেড়ে যায়। খাওয়া দেওয়ার শেষ পাতে কিংবা বাড়িতে আসা অতিথিদের আপ্যায়নে এই মাখা সন্দেশের কোনও তুলনা নেই।