নিউজ শর্ট ডেস্ক: বাংলা ইন্ডাস্ট্রির (Tollywood) দাপুটে একজন অভিনেত্রী হলেন ইন্দ্রাণী হালদার (Indrani Haldar)। বাংলা সিনেমার পাশাপাশি এই অভিনেত্রীর ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে ছোটপর্দাতেও। তবে ছোট পর্দার দর্শকদের কারও কাছে তিনি গোয়েন্দা গিন্নি তো কারো কাছে শ্রীময়ী নামেই বেশি জনপ্রিয়। হাসিখুশি এই মিষ্টি অভিনেত্রীর অভিনয় জীবনের শুরুটা হয়েছিল টেলিভিশনের হাত ধরেই।
১৯৮৬ সালে জোছন দস্তিদারের ‘তেরো পার্বণ’ ধারাবাহিকের হাত ধরেই অভিনয় জগতে হাতেখড়ি হয়েছিল তাঁর। পরবর্তীতে ১৯৯৭ সালে ‘দহন’-এ অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছিলেন ইন্দ্রানী হালদার। সুন্দরী এই অভিনেত্রী বাস্তব জীবনে ভারি মজার মানুষ। একবার এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন তাঁর মতই রসিকতা করতে ভালোবাসতেন তাঁর বাবাও।
অভিনেত্রীর কথায় তাঁর বাবা নাকি একবার তাঁকে মজা করে বলেছিলেন ‘এত প্রেম করবি, যে গুনতে গুনতে গুনতে হাতের আর পায়ের আঙুল শেষ হয়ে যাবে’। প্রসঙ্গত এখন চলছে প্রেমের মাস আর সামনেই আসছে ১৪ই ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ ভ্যালেন্টাইন্স ডে। আর এই বছর ওই একই দিনে পড়েছে সরস্বতী পুজো। আর সরস্বতী পুজো মানেই বাঙালির ভ্যালেন্টাইন্স ডে।
আর এই সরস্বতী পুজো ঘিরে প্রত্যেক বাঙালির জীবনেই রয়েছে নানান মিষ্টি প্রেমের স্মৃতি। সরস্বতী পুজা মানেই মেয়েরা শাড়ি আর ছেলেরা পাঞ্জাবি। বিদ্যার দেবীর পুজোর অঞ্জলি আর তার সাথে আড় চোখে চোখাচোখি এসব স্মৃতি সত্যিই ভোলার নয়। তাছাড়া ছোটবেলার প্রেম ভুলতে পারে না কেউ।
আরও পড়ুন: TRP তালিকায় দীপার দুর্ধর্ষ কামব্যাক! কত নম্বরে জ্যাস? কোথায় গেল ফুলকি-পর্ণারা?
এমনই কিছু প্রেম প্রস্তাব নিয়ে কথা বলতে গিয়ে টিভি নাইন বাংলার সাথে সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী ইন্দ্রানী হালদার জানিয়েছিলেন ‘আমাকে সরাসরি এসে কেউ বলে না। যাঁকে পাত্তা দেওয়ার দিই, যাঁকে পাত্তা দেওয়ার নয়, সরাসরি ভাইফোঁটায় নিমন্ত্রণ করে দিই। এই অভ্যাসটা ছোটবেলা থেকেই। যাঁকে ছোটবেলায় ভাইফোঁটা দিয়েছি, তার সঙ্গেও পরে হাত ধরাধরি করে ঘুরেছি। এমনও ঘটেছে। এসব ক্ষেত্রে বাঁ হাতে ভাইফোঁটা দিয়ে ডানহাতে মুছে দিতাম।’
তবে অভিনেত্রীর বর্তমান স্বামী ভাস্কর রায়ের সাথে কিন্তু দারুন সম্পর্ক তাঁর। প্রেম জীবন নিয়ে দুজনেই দারুন স্পোর্টিং। অভিনেত্রীর কথায় জানা গিয়েছে তাঁর স্বামীরও নাকি অনেক বান্ধবী আছে, তিনি খুবই স্পোর্টিং। আর তাঁর প্রেম ভেঙে গেলে নাকি স্বামীই এসে তাঁর চোখের জল মুছিয়ে দেন। যদিও প্রথমে ১৯৯৩ সালে প্রযোজক অমরেন্দ্র ঘোষকে বিয়ে করেছিলেন অভিনেত্রী। তবে সেই বিয়ে টেকেনি।