নিউজ শর্ট ডেস্ক: আমাদের দেশ ভারতবর্ষ মানেই মন্দিরের দেশ। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী দেশের প্রতিটি প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অসংখ্য দেব দেবীর মন্দির। আর এই সমস্ত মন্দির ঘিরেই রয়েছে নানান অজানা রহস্যের (Unknown Secret) ভান্ডার। আজ আপনাদের জানাবো আমাদের দেশের এমনই এক রহস্যময়ী মন্দির সম্পর্কে। এই মন্দিরের অজানা কাহিনী শুনলে গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে মুহূর্তের মধ্যে।
এই মন্দির ঘিরে আজও প্রচলিত রয়েছে একাধিক কিংবদন্তি। জানা যায় একসময় এখানে পৌঁছেছিলেন নাসার টিমও। এখানে কথা হচ্ছে উত্তরাখণ্ডের আলমোড়ার কাসারদেবীর মন্দির (Kasar Devi Temple)। ১৮৯০ সালেই এখানে এসেছিলেন আমাদের দেশের অন্যতম প্রাণপুরুষ স্বামী বিবেকানন্দ। এই মন্দির ঘিরেই শোনা যায় নানা ধরণের রহস্যময় কাহিনী।
বলা হয় এই মন্দিরটি নাকি পৃথিবীর ভ্যান অ্যালেন বেল্টে অবস্থিত। গবেষণায় বলা হয় এই ভ্যান অ্যালেন বেল্টের প্রভাব পৃথিবীর তিনটি জায়গায় রয়েছে। যার মধ্যে একটি পেরুর মাচু-পিচু, ইংল্যান্ডের স্টোন হেঞ্জ ও ভারতের এক গিরিশিরায়। এই গিরির শীর্ষেই অবস্থিত এই কাসারদেবীর মন্দির।
ভক্তদের বিশ্বাস এই দেবীর মন্দিরে এলেই নাকি নিরাময় হয় বহু মানুষের মানসিক অসুস্থতা। উইকিপিডিয়া তথ্যভাণ্ডার বলছে জর্জ হ্যারিসন থেকে ডিএইচ লরেন্সরাও এসেছেন এখানে। এমনকি পবিত্র ভারত ভূমির এই বিখ্যাত মন্দির সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে মেডিটেশনের ব্যবস্থা। কিন্তু ঠিক কি নিয়ে রহস্য রয়েছে এই কাসার পাহাড়ের চূড়ায় থাকা কাসার দেবীর মন্দিরে? রহস্যের প্রশ্ন খুঁজছেন অনেকেই।
আরও পড়ুন: রাজ্য নাকি কেন্দ্র! রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার থেকে লাভ বেশি কার জানেন?
জানা যায়, প্রতি বছর কার্তিক পূর্ণিমায় এখানে বসে আলাদা মেলা। আলমোড়া বাগেশ্বর হাইওয়ে ধরলেই সেখান থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই কাসার দেবীর মন্দির। ভক্তদের বিশ্বাস প্রত্যেক কার্তিক পূর্ণিমায় এখানে আসেন স্বয়ং কাসার দেবী। তাঁর নুপুরের শব্দ নাকি ধ্বনিত হয় বলে বিশ্বাস স্থানীয় মানুষদের। সেইসময় স্থানীয় দেবী আগমন উপলক্ষেই বিরাট মেলার আয়োজনও করা হয়।
জানা যায় এই মন্দিরের গর্ভ গৃহ সর্বক্ষণ জ্বলতে থাকে এক অখন্ড জ্যোতি। কাঠগুদাম রেলস্টেশন কিংবা পন্থনগর বিমানবন্দর থেকেও গাড়িতে আলমোড়া এসেও ঘুরে যাওয়া যেতে পারে এই বিখ্যাত মন্দির।