নিউজ শর্ট ডেস্ক: সত্যিই তো, পোস্ট অফিসে (Post Office) টাকা বিনিয়োগ করেই মাসে মাসে যদি ভালো টাকা আয় করা যায়, তাহলে মানুষ কেনই বা শুধু শুধু চাকরির পিছনে ছুটবেন! পোস্ট অফিসে টাকা বিনিয়োগ করলে রিটার্ন হিসাবে হাতে আসে মোটা টাকা। তাই পোস্ট অফিসে টাকা জমিয়ে খুব অল্প সময়েই কোটিপতি হওয়া যায়। একটি-দুটি নয় পোস্ট অফিসে এমন একাধিক স্কিম (Scheme) আছে যেখানে টাকা জমাতে পারলে মেয়াদ শেষে হাতে আসবে মোটা টাকা।
পোস্ট অফিসে রয়েছে এমনই একটি লাভজনক স্কিম। যেখানে প্রতি মাসে মাত্র ৩০০ টাকা বিনিয়োগ করেই মেয়াদপূর্তির পর কড়কড়ে ২১ হাজার টাকার লাভ করা যায়। আসুন পোস্ট অফিসের এই স্কিম সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাক।
পোস্ট অফিসের কোন স্কিমে বিনিয়োগ করবেন?
পোস্ট অফিসের আরডি অর্থাৎ রেকারিং ডিপোজিট স্কিমে বিনিয়োগ করলে এখন বেশ ভালো টাকার সুদ পাওয়া যাচ্ছে। এই স্কিমে ৫ বছরের জন্য বিনিয়োগ করলে মেয়াদপূর্তির পর প্রাপ্ত অর্থের ওপর বেশ ভালো টাকার সুদ পাওয়া যায়। পোস্ট অফিসের আরডি স্কিং হল একটি সঞ্চয় প্রকল্প যেখানে যে কোনো ভারতীয় নাগরিক টাকা বিনিয়োগ করে উচ্চ হারে সুদ পেতে পারেন।
এই স্কিমে টাকা বিনিয়োগ করতে চাইলে প্রথমে পোস্ট অফিসে গিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে, তারপর যে পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করতে চাইবেন সেই অনুযায়ী স্কিম বেছে নিতে হবে। এই স্কিমের ওপর ভিত্তি করেই প্রতি মাসে প্রিমিয়াম জমা করতে হবে।
আরও পড়ুন: মাসে মাসে ৫০০ টাকা জমিয়েই হয়ে যাবেন লাখপতি! LIC-র এই পলিসি ভুলেও হাতছাড়া করবেন না
সুদের হার কত?
পোস্ট অফিসের এই স্কিমে টাকা বিনিয়োগ করলে ৬.৭% হারে সুদ দেওয়া হচ্ছে। ৫ বছরের বিনিয়োগের ওপর পোস্ট অফিসের এই সুদের হার লাগু হয়। আর এই পুরো টাকাটা ম্যাচিউরিটির সময় একসাথে দেওয়া হয়। পোস্ট অফিসের এই স্কিমে প্রতি মাসে বিনিয়োগের বিনিয়োগের নূন্যতম পরিমাণ হল ১০০ টাকা তবে সর্বোচ্চ বিনিয়োগের কোনো সীমা নেই।
পোস্ট অফিসের এই স্কিমে প্রতি মাসে ৩০০ টাকা রাখলে পোস্ট অফিস মোট ৩,৪১০ টাকার সুদ দেয়। যা ৬.৭% সুদের হার হিসাবে গণণা করা হয়। ৫ বছরে কেউ যদি এই স্কিমে মোট ১৮,০০০ টাকা বিনিয়োগ করেন এবং সুদ হিসাবে যদি ৩,৪১০ টাকা পাওয়া যায় তাহলে পোস্ট অফিস থেকে মোট ২১,৪১০ টাকা পাওয়া যাবে।