নিউজ শর্ট ডেস্ক: বাজারে হামেশাই ছেঁড়া-ফাটা নোট (Torn Notes) নিয়ে কেনাকাটা করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন সাধারণ মানুষ। অনেকে আবার রং লাগা নোট দেখেও তা ফিরিয়ে দিতে চান। কিন্তু সত্যিই কি এমনটা করা যায়? ছেঁড়া-ফাটা নোট নিয়ে ঠিক কি নিয়ম রয়েছে ব্যাংকের (Bank)?
রং লাগা কিংবা ছেঁড়া-ফাটা নোট দেখলে এই চিন্তাই মাথায় ঘোরে সারাক্ষণ। কিন্তু আসলে এই নোট সংক্রান্ত ঠিক কি নিয়ম (Rules) রয়েছে ব্যাংকে? তা সঠিকভাবে জানেন না কেউই।
এখানে বলে রাখি এক্ষেত্রে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (Reserve Bank) ক্লিন নোট পলিসি নামে একটি নির্দেশিকা আছে। এর মাধ্যমে প্রত্যেক ভারতীয় নাগরিককে নোট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
তবে এই সমস্ত রং লাগা নোট যদি বাজারে চালাতে অসুবিধা হয় তাহলে নিকটবর্তী কোনও ব্যাঙ্কে গিয়ে সেই সমস্ত নোট বদলে নেওয়া যাবে। আর এর জন্য সেই ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট থাকা বাধ্যতামূলক নয়। কারণ নিয়ম অনুযায়ী ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট না থাকলেও ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ আইন অনুযায়ী ওই নোট বদলে সমপরিমাণ অর্থ দিতে বাধ্য হয় ।
আরও পড়ুন: ২১৫ দিনের জন্য রিচার্জ থেকে লম্বা ছুটি, দুর্দান্ত ও সস্তার প্ল্যান নিয়ে হাজির BSNL
কিন্তু প্রশ্ন হল ছেঁড়া-ফাটা নোট নিয়ে সমস্যায় পড়লে কি করা উচিত? আসুন জানা যাক বিস্তারিত।
নিয়ম অনুযায়ী ১০-২০ টাকার নোটের উপর পেন দিয়ে লেখা থাকলেও তা বৈধ বলে মণ হয়। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পেন দিয়ে লেখা নোট অবৈধ বলে তারা ঘোষণা করেনি। তাই এই সমস্ত ভুয়ো তথ্য এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। তবে ক্লিন নোট পলিসি মেনে তারা ব্যবহারকারীদের নোটের উপর পেন বা পেন্সিল কোনও কিছু দিয়েই না লেখার আহ্বান জানিয়েছে আরবিআই। কারণ একটি নোট অনেকদিন ভাল থাকে ।
ছেঁড়া নোট নিয়ে টাকা দিয়ে দেয় ব্যাঙ্ক?
ছেঁড়া নোট নিয়ে ব্যাঙ্কে গেলে পুরো অর্থই পাওয়া যাবে। তবে এক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে যদি নোটের পুরো অংশটাই থাকে তবে পুরো দামই পাওয়া যায়। কিন্তু যদি নোটের অর্ধেকটা বাদ যায় তবে আপনি টাকা দেওয়া হয় । অর্থাৎ একটি বৈধ ৫০০ টাকার নোটের অর্ধেক ব্যাঙ্কে জমা করলে মাত্র ২৫০ টাকা পাওয়া যাবে।