নিউজ শর্ট ডেস্ক: বাংলা বিনোদন জগতের অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন অভিনেত্রী হলেন মানালি দে (Manali Dey)। যদিও ছোট পর্দার দর্শকদের কাছে এখন তিনি শিমুল (Shimul) নামেই বেশি জনপ্রিয়। জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় বাংলা সিরিয়াল (Bengali Serial) ‘কার কাছে কই মনের কথা’য় (Kar Kache Koi Moner Kotha) মানালি অভিনীত চরিত্রটি এখন দারুন জনপ্রিয় দর্শকমহলে। পর্দার এই শিমুল চরিত্রটি মানালির মতোই অত্যন্ত স্পষ্টবাদী এবং প্রতিবাদি।
ধারাবাহিকে শ্বশুরবাড়িতে শিমুল নিজের স্বামীর কাছেই গার্হস্থ হিংসার শিকার। সিরিয়ালের প্লট অনুযায়ী খুব তাড়াতাড়ি ডিভোর্স হতে চলেছে তাদের। তবে বাস্তব জীবনে কিন্তু মানালির জীবনটা একেবারে অন্যরকম। বাস্তব জীবনে মানালির স্বামী অভিমন্যু মুখোপাধ্যায় (Abhimanyu Mukherjee) পেশায় একজন পরিচালক। ২০২০ সালে চার হাত এক হয়েছিল তাঁদের। স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কের থেকেও অনেক বেশি মজবুত তাঁদের বন্ধুত্বের সম্পর্ক। সম্প্রতি নিজের অভিনয় জীবন থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে এক খোলামেলা আড্ডায় নিজের মনের কথা জানাতে হাজির হয়েছিলেন অভিনেত্রী।
সেখানে মানালি জানান তাঁর জীবনে অনেক বন্ধু-বান্ধব থাকলেও স্বামী অভিমন্যুই তাঁর সবচেয়ে ভালো বন্ধু। অভিনেত্রীর কথায় তাঁদের মধ্যে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কের থেকেও অনেক বেশি মজবুত তাদের বন্ধুত্বের সম্পর্ক। এছাড়া এদিন মানালি জানান তাঁদের মধ্যে ঝগড়া অশান্তি যতই হোক না কেন তারা রাত্রের মধ্যেই সেটা মিটিয়ে নেন। সকাল পর্যন্ত কোনোভাবেই ঝগড়া টেনে নিয়ে যান না এই তারকা দম্পতি।
প্রসঙ্গত ‘নিমকি ফুলকি’ সিনেমায় কাজে সূত্রের প্রথম অভিমন্যু সাথে বন্ধুত্ব হয়েছিল মানালির। তবে আজ পর্যন্ত তিনি কখনওই পরিচালকের স্ত্রী হওয়ার কোন বাড়তি সুবিধা পাননি। সম্পর্কে স্ত্রী হলেও তিনি নাকি পরিচালকের ‘লাস্ট অপশন’। এছাড়া পরিচালক হিসাবে বাকি অভিনেতাদের সাথে তিনি যে রকম ভাবে ব্যবহার করেন তার সাথেও নাকি ঠিক তেমনই ব্যবহার করেন।
আরও পড়ুন: পাল্টে গেল চয়ন! রুচিরার স্বামীর চরিত্রে থাকবেন ‘খেলনা বাড়ি’র এই জনপ্রিয় নায়ক!
নিমকি ফুলকি ছাড়াও মানালি ‘নিমকি ফুলকি ২’, ‘লকডাউন’- এর মত একাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন। পর্দায় শিমুলের সাথে তার শ্বশুরবাড়ির সম্পর্কের কথা তো সকলেই জানেন। কিন্তু মানালির সাথে তাঁর শ্বশুর বাড়ির মানুষদের কেমন সম্পর্ক তা জানতে চাওয়া হলে এদিন অভিনেত্রী বলেন এদিক দিয়ে তিনি নাকি খুব লাকি। অভিনেত্রীর সাথে তাঁর শ্বশুরবাড়ির মানুষদের বন্ডিংটা খুবই ভালো।
মানালি জানান তাঁর শাশুড়িমায়ের সাথে তাঁর সম্পর্কটা এত সুন্দর যে তাকে মা বলেই ডাকতেই ইচ্ছাকরে। মানালির কথায় ‘আমার শাশুড়িকে মা বলতে ইচ্ছা করে। আমি তাকে মা বলেই ডাকি। আমার বাপি যেমন আমাকে দেখে রাখত, ও বাড়িতে অভিমন্যুর বাবাও আমাকে সেভাবেই দেখে রাখে। আসলে আমার মনে হয় না আমি ওই বাড়ির বউ। আমি ফিল করি যে আমি ওদের বাড়ির মেয়ে। আমি খুব লাকি এই জায়গা থেকে। ‘