নিউজ শর্ট ডেস্ক: ঘরে বাইরে দুদিকেই মেয়েরা দুহাতে দশভূজা। এখন আমাদের দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রেই ছেলেদের সাথেই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সমান তালে এগিয়ে চলেছেন মেয়েরা। চাকরি-ব্যবসা কিংবা দেশের অগ্রগতি থেকে রাজনীতি কোন কিছুতেই পিছিয়ে নেই নারীশক্তি। অথচ একটা সময় মেয়েদের জায়গা হেসেলে বলেই থামিয়ে দেওয়া হতো।
আর এখন অনেকে এই রান্নাঘরটাকেই করে তুলেছেন নিজেদের আয়ের উৎস। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনই এক জনপ্রিয় মুখ হলেন মুনমুন দিদি (Munmun Didi)। বর্ধমান শহরে বাড়ি তাঁর। বর্তমানে তিনি রাস্তার ধারে একটি খাবারের হোটেল চালান। প্রতিদিন দুপুর হতেই তার দোকানের সামনে লম্বা লাইন লেগে যায় ক্রেতাদের তো বটেই, ভিড় জমান ফুড ব্লগার থেকে শুরু করে ভোজন রসিকরাও।
খুব অল্প টাকায় ভালো মানের খাবার বিক্রি করে ইতিমধ্যেই বহু মানুষের মন জয় করে নিয়েছেন তিনি। বর্তমানে মুনমুন এবং তার স্বামী দুজনে মিলেই এই দোকান চালায়। এখন তাদের দোকানের অবস্থা বেশ ভালো হলেও শুরুটা এতটাও সহজ ছিলনা। জানা যায়, মেয়ে ছোট থাকায় একসময় তার জন্যই চাকরি ছেড়েছিলেন তিনি। আর তারপরেই শুরু হয়ে যায় লকডাউন।
সেই পরিস্থিতিতে চাকরি হারান মুনমুনের স্বামীও। কিন্তু মুনমুনের মনে ছিল এক অসম্ভব জেদ. যেহেতু তিনি খুব ভালো রান্না করতে পারতেন তাই তিনি ঠিক করে নিয়েছিলেন হোম ডেলিভারির ব্যবসা শুরু করবেন।তাই প্রথমে মাত্র ৩৭০ টাকা দিয়েই শুরু করেছিলেন খাবারের ব্যবসা।
আরও পড়ুন: রাজ্যের বেকার যুবকদের জন্য বড়সড় উদ্যোগ, এই প্রকল্পে কিভাবে করবেন আবেদন?
মুনমুন প্রথম দিন প্রায় ২২ জনের জন্য খাবার ডেলিভারি দিয়েছিলেন। তার মধ্যে ছিলেন দুজন করোনা আক্রান্ত রোগী। শুরুর দিকে ব্যবসা চালানোর জন্য ধারও করেছিলেন মুনমুন। তবে এখন মুনমুন বলেন সেই সময় যদি তিনি ধার না পেতেন তাহলে আজ তিনি এই জায়গায় পৌঁছাতেই পারতেন না।
এখন এই সোশ্যাল মিডিয়ার ভাইরাল মুনমুন দিদির দোকানে দিনে প্রায় ১২০০ প্লেট খাবার বিক্রি হয়। বর্তমানে তার দোকানে পাওয়া যায় বাসন্তী পোলাও, চিকেন কষা, ফ্রাইড রাইস, মটন কষা, চিলি চিকেন, রুটি, খাসির মাংসের ঘুগনির মতো খাবার। মহিলা হিসাবে নিজের সাফল্যে গর্বিত মুনমুন। আগামী কাল আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে তিনি তাঁর দোকানে একটি রক্তদান শিবিরেরও আয়োজন করেছেন।