নিউজ শর্ট ডেস্ক: প্রচন্ড গরমে নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড় রাজ্যবাসীর। প্রচন্ড এই গরমে রাস্তাঘাটে বেরোলেই যেন গায়ে আগুনের ছেঁকা লাগছে। তাই দুপুরের চড়া রোদে পথঘাট এখন প্রায় জনশূন্য। এই এই সময় ঠান্ডা শরবত,জল, ফলের রস কিংবা আইসক্রিম খেতে ইচ্ছা করে ঘনঘন। তাই এই মরসুমে এই সমস্ত জিনিসের ব্যবসা (Business) করেই বিরাট লাভ করা যেতে পারে।
তাই চাকরির পাশাপাশি কেউ যদি অতিরিক্ত আয়ের জন্য এই সমস্ত ঠাণ্ডা খাদ্য বানিয়ে ব্যবসা করতে চান তাহলে তা দারুন লাভজনক হতে পারে। কিন্তু এই সমস্ত ব্যবসা শুরুর আগে অনেকেই মনে করেন প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। কিন্তু আসলে তা নয়, আসলে এই সমস্ত ব্যবসা বাড়ি থেকেও শুরু করা যেতে পারে।
তাছাড়া এখনকার দিনে ক্লাউড কিচেন ব্যাপক জনপ্রিয়। ফলে আইসক্রিম পার্লার বা জুসের দোকান করার মত মূলধন না থাকলেও অসুবিধা নেই। তাছাড়া নিজের বাড়িতে আইসক্রিম বানিয়েও তার ডেলিভারি দেওয়া যেতে পারে। অনেকেই আবার ডেলিভারির মাধ্যমেও আইসক্রিম আনিয়ে থাকেন। আর মূলধন থাকলে তো কথাই নেই।
আইসক্রিম:
এখন অনেক ধরনের আইসক্রিম পাওয়া যায়। এরমধ্যে অন্যতম- আইসক্রিম রোল, কোল্ড স্টোন, আইসক্রিম কেক, নাইট্রোজেন আইসক্রিম ইত্যাদি। এছাড়াও লাইভ আইসক্রিম কাউন্টার এখন দারুন হিট।
আরও পড়ুন: বাবা হয়ে ছেলেকে জানাবেন স্যালুট! ২২ বছরে IPS হয়ে অসম্ভমকে সম্ভব করলেন এই যুবক
লেবুর রস ও সোডা জ্যুস:
প্রচন্ড গরমের মধ্যে ডিহাইড্রেশনের হাত থেকে বাঁচতে লেবুর রস এককথায় আদর্শ। এই লেবুর রসের জন্য ছোট্ট ফুড ট্রাক কিংবা ছোট্ট দোকান-ও দেওয়া যেতে পারে। তবে লেবুর রসের সঙ্গে সোডা জ্যুসও রাখা যেতে পারে।
টাটকা ফলের রস:
আম, আনারস, ডালিমের মতো মরশুমী ফল দিয়ে ঠান্ডা ঠান্ডা জ্যুস বানানো যেতে পারে। তবে এক্ষেত্রে তাজা ফল আনা জরুরি।
লস্যি ও কোল্ড কফি:
লস্যিও এই সময়ের জন্য দারুন উপকারী দই লস্যি বানানোর খরচও অনেক কম হয়। একইসাথে কোল্ড কফি কিংবা ঠান্ডা মিল্ক শেকও রাখা যেতে পারে।
এই ব্যবসায় ডেলিভারির বিষয়টা সতর্ক ভাবে করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, আইসক্রিম যেন গলে না যায়। এছাড়া ৪০০-৫০০ বর্গফুটের ছোট্ট একটা দোকান অথবা ফুড ট্রাক-ও নেওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে গড় বিনিয়োগের পরিমাণ ৫ থেকে ১০ লক্ষ টাকা। তবে এই ব্যবসায় ঝাঁ-চকচকে দোকান করতে খরচ হয় প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার কাছাকাছি। আইসক্রিম অথবা জ্যুস বা লস্যির ব্যবসা করতে গেলে ফুড এবং ফায়ার ডিপার্টমেন্ট থেকে লাইসেন্স করানোও বাঞ্চনীয়।