নিউজ শর্ট ডেস্ক: আজকের দিনে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করতে কে না চায়! তাই কেউ যদি মাসে মাসে ১ থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত উপার্জন করতে চান তাহলে কোনো কোম্পানির ফ্রাঞ্চাইজি না নিয়েই ১০০০০০ টাকা বিনিয়োগ করে এমন ব্যবসা শুরু করতে পারেন যার আজকের দিনে ভারতের ছোট শহর গুলিতেও কোনো প্রতিযোগী নেই।
ভারতে ব্যবসার সুযোগ:
ভারতে বাজারে ব্যবসা (Business) নিজেদের প্রোডাক্ট বিক্রির জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ে গোটা বিশ্বের বিভিন্ন নামি-দামি কোম্পানিগুলি। এর অন্যতম কারণ ভারতীয়রা প্রাণ খুলে শপিং করেন। তবে এমন অনেক মানুষ-ও আছেন যারা জিনিসপত্র কিনে তো ফেলেন কিন্তু তা আর ব্যবহার করতে পারেন না। কেউ কেউ দু’চার বার ব্যবহার করেই তা ব্যবহার করা বন্ধ করে দেন।
বিশেষ করে ফ্যাশন এবং গৃহসজ্জার জিনিসপত্রের ক্ষেত্রেই এমনটা বেশি দেখা যায়। আর এই জিনিসের প্রচুর বিকল্প এসে যাওয়ায় কেউ কেউ এগুলি ডোনেট করে দেন আবার কেউ কেউ গুদাম ঘরেই ফেলে রাখেন আর পরে তা জায়গা পায় আবর্জনার স্তূপে।
এখন এই সমস্ত ব্যবহার করা জিনিসকেই নতুন রূপ দিয়ে তা নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছেন অনেকে। এই ধরনের সেকেন্ড হ্যান্ড প্রোডাক্ট কেনাবেচার ব্যবসাকে ‘থ্রিফ্ট স্টোর’ (Thrift Store) বলে।তবে এই ব্যবসার জন্য কোন দোকানের প্রয়োজন হয় না। কেউ চাইলে অনলাইন থ্রিফট স্টোর-ও শুরু করতে পারেন। ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ফেসবুক মার্কেট প্লেস, আপনার থ্রিফ্ট স্টোর লোকজনের কাছে পৌঁছে দিতে এবং আপনার ব্যবসা বাড়াতে সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন: SIP নাকি Lumpsum কোনটি বেশি লাভজনক? সঠিক তথ্য জানলে আজই বিনিয়োগ শুরু করবেন
একে জন্য শুধু ক্রমাগত প্রোডাক্ট আপলোড করে যেতে হবে। এইভাবেই যখনই কোনো আর্ডার পাওয়া যাবে তখনই তা ডেলিভার কর দিতে হবে। এইভাবেই যখন ব্যবসা বাড়তে শুরু করবে আর ভালো আয় হবে তখনই নিজের ওয়েবসাইট লঞ্চ করা যেতে পারে। শুরুতে নিকটবর্তী কোনো শহর থেকেই প্রয়োজনীয় প্রোডাক্ট কেনা যেতে পারে।
খরচ বাঁচাতে অনেকেই কম দামে ফ্যাশনেবল প্রোডাক্ট কিংবা পছন্দের হোম ডেকোরের জিনিস কিনতে পছন্দ করেন। তাই ভারতে এই থ্রিফ্ট স্টোরের গ্রাহকদের কমতি নেই। তরুণ প্রজন্মের কলেজ স্টুডেন্টরা তো বটেই সেইসাথে ভারতের গৃহবধূ মহিলা কিংবা অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীরাও এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
ভারতে লাভজনক ব্যবসায়িক ধারণা
ফ্যাশন, হোম ডেকোরেশন এবং অ্যান্টিক্যান্সের ব্যবসায় সবচেয়ে বড় সুবিধা ছিল যে গ্রাহকরা যখনই কোনো প্রোডাক্ট কিনতে আসবেন তখন বেশিরভাগ সময় তারা নিজেদের প্ল্যানিং-এর বাইরে বেরিয়েও জিনিসপত্র কিনে নিয়ে যাবেন। আর সবচেয়ে মজার বিষয় হল ট্রাডিশনাল মার্কেটে ফ্যাশনে ইন কোন প্রোডাক্টে যদি ২৫%কমিশন পাওয়া যায় হয় তাহলে ‘থ্রিফ্ট স্টোর’-এ সেই একই প্রোডাক্টের ওপর ৪০% লাভ হবে।