নিউজ শর্ট ডেস্ক: শূন্য থেকে শুরু করে আজ সাফল্যের শিখরে বিরাজ করছেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। তাঁকে এক ডাকে চেনেন গোটা দুনিয়া। টলিউড হোক কিংবা বলিউড (Tollywood & Bollywood) উভয় ইন্ডাষ্ট্রিতেই আজও তাঁর দাপট অব্যাহত। তাই পর্দায় মিঠুন চক্রবর্তীকে দেখলে আজও হল ফেটে পড়ে হাততালি আর সিটিতে। আজ মিঠুন চক্রবর্তী কাঁপানো মেগাস্টার। তাই তাঁর কাছে নাম-ডাক,অর্থ-সম্পত্তি কোন কিছুরই অভাব নেই।
তবে তাঁর আজকের এই সাফল্য কিন্তু রাতারাতি আসেনি। একটা সময় এই পর্দা কাঁপানো সুপারস্টারই মাত্র ৭৫ টাকার বাড়ি ভাড়ায় কাটিয়েছেন দিনের পর দিন রাতের পর রাত. কিন্তু তারপরেও তার মধ্যে ছিল স্বপ্ন পূরণের এক আদম্য ইচ্ছা। তাই শত কষ্ট সহ্য করেও দাঁত কামড়ে পরে থেকেছেন। কাটিয়েছেন নিদ্রাহীন রাত, আর আট পেটা খাওয়া দিন।
তিনি বিশ্বাস করেন স্বপ্ন এমন হওয়া উচিত যা রাতে ঘুমাতে দেয় না। তাই তাঁর মনের জোরই তাঁকে বানিয়ে দিয়েছে বলিউডের ডিসকো ড্যান্সার। কিন্তু এত সাফল্যের ঝলকানিতেও কখনও চোখ ধাঁধিয়ে যায়নি তাঁর। এটাই বোধহয় একজন বড় মাপের শিল্পীর আসল পরিচয়। তাই এত সাফল্যের পরেও মাটিতেই পা রাখেন মিঠুন চক্রবর্তী। নিজের অতীত ভুলে যাননি তিনি। আর এটাই বোধ হয় তাঁকে একজন মেগাস্টার করে তুলেছে।
কিন্তু কয়েক বছর পিছিয়ে গেলে দেখা যাবে তিনি যখন ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন, তখন বলিউড তাকে সেভাবে দাম দেয়নি। যদিও ততদিনে ‘মৃগয়া’তে অভিনয় করে জাতীয় পুরস্কার উঠে গিয়েছে মিঠুন চক্রবর্তীর ঝুলিতে। কিন্তু সেসময় আজকের এই মেগাস্টার কত পারিশ্রমিক পেতো জানেন? সে সময় প্রত্যেক সিনেমা পিছু মিঠুন চক্রবর্তীর পারিশ্রমিক ছিল মাত্র ৫০০০ টাকা। হ্যাঁ, শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি।
আরও পড়ুন: ছোট্ট বাবু আসার আগেই আবার ভাঙছে সৃজন-পর্ণার সম্পর্ক! খুশিতে ডগমগ বাবুর মা
কিছুদিন আগে একটি সাক্ষাৎকারে খোদ অভিনেতা জানিয়েছেন ১৯৭৯ সালে বাসু চট্টোপাধ্যায়ের ‘প্রেম বিবাহ’ সিনেমায় অভিনয় করে মাত্র ৫০০০ টাকার পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন তিনি অথচ ওই সময়ই তাঁর মেকআপ আর্টিস্টের পারিশ্রমিক ছিল তাঁর থেকে বেশি। মিঠুনের কথায়, ‘ওই ছবির জন্য আমি ৫০০০ টাকা পাই, আর ওরা পেয়েছিল ৭ থেকে ৮ হাজারের মতো।’
এখানেই শেষ নয় সে সময় ৭৫টাকা দিয়ে একটি ঘরে ভাড়া থাকতেন তিনি। কিন্তু প্রবীণ এই অভিনেতার আফসোস একটাই তখনও ইন্ডাস্ট্রি তাঁকে আপন করে নেয়নি। অতীতের স্মৃতি হাতড়ে মিঠুন জানিয়েছিলেন একবার এক পরিচালক তাকে বলেছিলেন ‘তিনি যদি হিরো হন তাহলে নাকি তিনি ইন্ডাস্ট্রি ছেড়ে দেবেন’।
আরও পড়ুন: অব্রাহ্মণ মেয়ে বিয়ে করে বাড়ি ছাড়া! হাসিখুশি খরাজের জীবনের গল্প শুনলে চোখে জল আসবে
কিন্তু মিঠুনের ভাগ্যের চাকা ঘুরে যায় ১৯৮২ সালের ডিসকো ড্যান্সার সিনেমার হাত ধরে। এটাই তাঁর ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট হয়ে দাঁড়ায়। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি আজকের এই মেগা স্টারকে। মিঠুনের এই দেশজোড়া স্টারডমই পরবর্তীতে তাঁকে সেই ভাড়া বাড়ি থেকে তুলে এনে বসিয়েছে রাজপ্রাসাদের মত এক বাড়িতে। যদিও ক্ষমতা থাকা সত্বেও অভিনেতা আজও সাদামাটা জীবন যাপন করতেই বেশি পছন্দ করেন।