নিউজ শর্ট ডেস্ক: এখন এক মুহূর্তের জন্যও জি বাংলার (Zee Bangla) ‘নীম ফুলের মধু’ (Neem Phooler Madhu) সিরিয়ালের থেকে চোখ ফেরাতে পারছেন না দর্শক। ধারাবাহিকের প্রত্যেকটা পর্বের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত থাকছে টান টান উত্তেজনায় মোড়া। এই মুহুর্তে ধারাবাহিকের নায়ক নায়িকা সৃজন-পর্ণা (Srijan-Parna) হলেন দর্শকদের হট ফেভারিট জুটি। ধারাবাহিকের ট্যাগ লাইনেই বলা হয়েছে ‘তেতো টুকু পার করলেই পাওয়া যায় মিঠের হদিস।’
এখন এই ধারাবাহিকেও দেখা যাচ্ছে তেমনই ঘটনা। সৃজনের মনে পর্ণার জন্য এতদিন ধরে যে অভিমানের পাহাড় জমে ছিল তা অবশেষে গলে জল হয়ে গিয়েছে। গত পর্বেই দেখা গিয়েছে সৃজন পর্ণার জমজমাট বিবাহ বার্ষিকীর পর্ব। তারপরেই দেখা গিয়েছিল মান অভিমান মিটিয়ে ফুলশয্যার রাতেই একে অপরের প্রতি দুর্বল হয়ে পড়েছিল সৃজন-পর্ণাা। বিয়ের এতদিন পর এই প্রথম একে অপরের কাছাকাছি এসেছিল তারা।
কিন্তু পরক্ষণেই সৃজন বলে তার ভুল হয়ে গিয়েছে। যেটা হয়েছে সেটা ঠিক হয়নি। সৃজনের এই কথায় মনে চরম আঘাত পায় পর্ণা। তাই পরদিন কোর্টে গিয়ে সে জানায় তার কোনো খোরপোষ চাই না। এই বলে বিনা বাক্য ব্যায়ে ডিভোর্স পেপারে সই করে দেয় পর্ণা। কিন্তু জগু দাদা শেষ রক্ষা করে দেন। তাই এতদিন ডিভর্সের জন্য লাফালাফি করেও এদিন শেষ মুহূর্তে ডিভোর্স পেপারে সই করবে না বলে জানিয়ে দেয়।
আর বাবু এইভাবে শেষ মুহুর্তে খেলা ঘুরিয়ে দেওয়ায় কৃষ্ণার সমস্ত রাগ গিয়ে পরে পর্ণার ওপর। শুধু তাই নয় এদিন কৃষ্ণা যখন রাস্তায় দাঁড়িয়ে পর্ণাকে কু-কথা বলছিল তখন সৃজন প্রথমবার মায়ের সামনে বউয়ের হয়ে কথা বলেছিল। এরপর গত পর্বেই দেখা গিয়েছে বাড়ি এসে সৃজন-পর্ণার মধ্যে আরেক প্রস্থ মান অভিমানের পর্ব চলে। তারপর আবার তারা ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে একে অপরের কাছাকাছি আসে।
আরও পড়ুন: অব্রাহ্মণ মেয়ে বিয়ে করে বাড়ি ছাড়া! হাসিখুশি খরাজের জীবনের গল্প শুনলে চোখে জল আসবে
আর তারপরেই দেখা যায় সৃজনের বাবা তাদের জন্য হানিমুনের ফ্লাইট বুক টিকিট বুক করে দিয়েছেন। সবমিলিয়ে এই মুহূর্তে একেবারে প্রেমের জোয়ারে ভাসছে পর্দার সৃজন-পর্ণা জুটি। কিন্তু তাদের এই সুখ সম্ভবতবেশি দিন সহ্য হবে না। কারণ এরই মধ্যে এসে গিয়েছে সিরিয়ালের একটি নতুন প্রোমো। সেখানে দেখা যাচ্ছে পর্ণা চয়ন এবং রুচিরাকে বিয়ে দিয়ে দত্তবাড়িতে নিয়ে এসেছে।
আরও পড়ুন: শ্রাবণের পর বদলে যাচ্ছে আরও এক নায়িকা! মাথায় হাত ‘ইচ্ছে পুতুল’ ভক্তদের
আর বাড়িতে এসেই জেঠিকে ডাকাডাকি শুরু করে দিয়ে পর্ণা এদিন বলে ‘জেঠি শিগগিরই এসো তোমার ছেলের বউ এসেছে বরণ করো।’ তখন সবাই বেরিয়ে এসে যখন দেখে চয়ন রুচিরাকে বিয়ে করে এনেছে। সবার মতোই ভীষণ চমকে যায় সৃজন। সেইসাথে প্রচন্ড রেগে গিয়ে সৃজন এদিন বলে ওঠে ‘রুচিরাকে বাড়ি ঢোকানোর আগে একটা কথা তুমি কান খুলে শুনে রাখো পর্ণা। একটা সম্পর্ক জুড়তে গিয়ে তুমি আমাদের সম্পর্ক টা ভেঙে ফেললে’।