নিউজ শর্ট ডেস্ক: কোনো কারণে মোবাইল চুরি হয়ে গেলে কিংবা অসাবধানবশত ফোন হারিয়ে গেলে অভিযোগকারীর কাছে পুলিশ প্রথমেই মোবাইলটির IMEI নম্বর জানতে চান। এই নম্বরটি সঠিক ভাবে বলতে পারলে, আইন মেনে মোবাইলটি ‘অকেজো’ করে দেওয়া যায়।
IMEI নম্বর আসলে কি?
প্রথমেই বলে রাখি এই IMEI নম্বর আসলে International Mobile Station Equipment Identity নম্বর বা সংক্ষেপে IMEI নাম পরিচিত। বৈধ উপায়ে বিক্রি প্রত্যেকটি মোবাইলের সঙ্গেই এই নম্বর থাকে। তবে প্রত্যেকটি মোবাইলের ক্ষেত্রেই এই নম্বর আলাদা হয়। এই নম্বরটি দিয়ে ME মডেল বা একটি নির্দিষ্ট ইউনিট কী ভাবে GSM নেটওয়ার্ক ব্যবহার করছে, তা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় দরকারের সময় এই নম্বর খুঁজে পাওয়া যায় না। আসলে এই IMEI নম্বর জানার একাধিক উপায় আছে। যার মধ্যে অন্যতম হল USSD কোড। এটি মূলত সর্বজনীন একটি পদ্ধতি। এতে ব্যাহারকারীর মোবাইল থেকে *#06# নম্বরে ডায়াল করলেই ফোনের স্ক্রিনে মোবাইলের IMEI নম্বর ভেসে ওঠে। দরকার হলে এই নম্বরটি সেটি লিখে রাখা যেতে পারে অথবা স্ক্রিশনটও তুলে রাখা যেতে পারে।
IMEI নম্বর যাচাই করতে চাইলে KYM<১৫ ডিজিটের IMEI নম্বর> দিয়ে ১৪৪২২ নম্বরে মেসেজ করা যেতে পারে। কিন্তু প্রশ্ন হল এই তথ্য যাচাই করে লাভ কী হবে?
আসলে IMEI নম্বর যাচাই করলে মোবাইল সম্পর্কিত বেশ তথ্য হাতে আসে। যার মধ্যে অন্যতম মোবাইলের নির্মাতা কে, ডিভাইসের ফিচার্স, ব্র্যান্ডের নাম ইত্যাদি। এখানে বলে রাখি যে কোনও মোবাইল নির্মাতা বা ব্র্যান্ড মালিককেই বাধ্যতামূলকভাবে বৈধ IMEI নম্বর দিতে হয়।
এক্ষেত্রে নিয়ম অনুযায়ী, একবার ইউনিটটি তৈরি হয়ে গেলে পরে আর IMEI নম্বর বদলানো যায় না। যদিও প্রত্যেকটি ডিভাইসের ক্ষেত্রে এই নম্বর আলাদা হবে, এটাই নিয়ম।
সাধারণত রিটেল বক্স এবং বিলে এই মোবাইলের নম্বর দেওয়া থাকে। তাই কেউ যদি মোবাইল কেনার পরেই বাক্সটি আলাদা রাখেন, তা হলেও সহজেই নম্বরটির হদিস পাওয়া যায়। তাই মোবাইল হারিয়ে গেলে কিংবা চুরি হয়ে গেলেও এই নম্বর কাজে লাগিয়েই ওই মোবাইলটি অকেজো করে ফেলা যায়।
তবে আগে থেকেই সাবধান হওয়া ভাল। তাই বৈধ কোনও দোকান থেকেই মোবাইল কেনা উচিত। তাছাড়া ফোনে সিকিউরিটির ব্যবস্থা রাখার পাশাপাশি এবং মেরামতের জন্য চেনা সার্ভিস সেন্টারে পাঠানোই শ্রেয়।