নিউজ শর্ট ডেস্ক: কলকাতা (Kolkata) মানেই আমাদের দেশের শিক্ষা-সংস্কৃতির অন্যতম পীঠস্থান। সুন্দরী তিলোত্তমার পরতে পরতে রয়েছে নানান রূপ আর রহস্যে মোড়া। একটা সময় পরাধীন ভারতের ইংরেজ শাসকদের কড়া শাসন চলত এই শহরে। ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য উপযুক্ত এই কলকাতাকেই সেসময় ব্রিটিশ শাসকরা তাদের রাজধানী বানিয়েছিলেন।
তাই শুরু থেকেই কলকাতা শহরটাকে নিজেদের মনের মতো করেই গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন ইংরেজ শাসকরা। যার ছাপ আজও স্পষ্ট শহরের আনাচে কানাচে। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল থেকে শুরু করে হাওড়া ব্রিজ (Howrah Bridge) সবেতেই স্পষ্ট নিদর্শন রয়েছে ব্রিটিশ আমলের।
প্রসঙ্গত হাওড়া জেলায় অবস্থিত হুগলি নদীর উপরে ২২ লক্ষ টাকায় নির্মিত এই ঐতিহাসিক রবীন্দ্রসেতু বা হাওড়া ব্রিজ হল বিশ্বের দীর্ঘতম সেতু গুলির মধ্যে অন্যতম। যা দশকের পর দশক ধরে কলকাতাবাসীর গর্ব এবং ঐতিহ্যের স্বাক্ষর বহন করে চলেছে।
এই হাওড়া ব্রিজের ওপর দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রীবাহী এবং পণ্যবাহী যান চলাচল করে থাকে। যা প্রকৃত অর্থেই হাওড়া জেলাকে যুক্ত করেছে কলকাতা শহরের সাথে। পড়ন্ত বিকেলে নদীর ধারে দাঁড়িয়ে কিংবা নৌকায় চড়ার সময় এই বিশাল উচ্চতার হাওড়া ব্রিজের দিকে তাকালেই নিমেষের মধ্যে সব ক্লান্তি দূর হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: মাত্ৰ ১৫ হাজার টাকা দিয়ে কিনুন এই মেশিন, এই ব্যবসায় প্রতি মাসে রোজগার হবে ৬০ হাজার টাকা
ঝুলন্ত এই হাওড়া সেতু দুটি বিশাল স্তম্ভের উপর স্থাপিত। জানা যায় ২৮০ ফুটেরও বেশি উঁচু স্তম্ভ দুটি বিশাল কংক্রিট ব্লকের সাথে নদীর নিচেই নোঙর করা রয়েছে। এই দুটি পিলারের মধ্যে দূরত্ব ১৫০০ ফুট। তবে এই হাওড়া ব্রিজ ঘিরেই রয়েছে বেশ কিছু অজানা রহস্য। যা অজানা অনেকের কাছেই। তেমনি জানলে অবাক হবেন এই ব্রিজটি প্রতিদিন দুপুর ও রাত ১২ টার সময় কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু কেন?
এখানে বলে রাখি এ প্রসঙ্গে একাধিক মতবাদ প্রচলিত আছে। তবে বেশিরভাগ মানুষই দাবি করেন এক ইঞ্জিনিয়ের বলা কথাই এর পিছনে দায়ী। আসলে এই ব্রিজটি ইংরেজ আমলে তৈরী হয়েছিল। তখন ইঞ্জিনিয়াররা ভেবেছিলেন এই ব্রিজ ২৫ হাজার টনের বেশি ওজন নিতে পারবে না। আর বিশ্বেষজ্ঞরা বলেন যেকোনো ব্রিজ ভেঙে পড়ার সম্ভাব্য সময় হল ১২টা। কিন্তু তারা উল্লেখ করেননি যে দুপুর নাকি রাত ১২টা।
তাই প্রচলিত কথা অনুসারে সেই থেকেই দুপুর ও রাত ১২টার সময় ৩-৪ মিনিটের জন্য সমস্ত যানবাহন বন্ধ করে দেয়া হয়। যদিও এই তথ্যের কোন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই। তবে অনেকে এমনও দাবি করেন হাওড়া ব্রিজ কখনও ভেঙে পড়বে না, আসলে এই ১২টার সময় ব্রিজ বন্ধ রাখা ইচ্ছা করেই। যাতে মানুষের ওজন ছাড়া ব্রিজটি কিছুক্ষণের বিশ্রাম পায়।