নিউজশর্ট ডেস্কঃ এই গরমে নাজেহাল অবস্থা সকলের। প্রায় রোজ তাপমাত্রা নতুন নতুন রেকর্ড গড়ছে। তাই অনেকেই এইসময় পাহাড়ে ঘুরতে যেতে চাইছেন। আপনিও যদি পাহাড়ে যেতে চান ,তাহলে আপনার জন্য রইল এক ঠিকানার হদিশ। এই অফবিট এই লোকেশনে(Offbeat Location) একবার গেলে আপনার মন ফুরফুরে হয়ে যাবে। এখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এতটাই সুন্দর আপনার স্বর্গীয় দৃশ্য অনুভব হবে। যারা পাহাড় দেখতে পছন্দ করেন তাদের জন্য পাহাড়ের কোলে এই সুন্দর গ্রাম একেবারে পারফেক্ট ডেস্টিনেশন।
আর আপনি যদি ট্রেক করতে পছন্দ করেন তাহলে তো সোনায় সোহাগা। আজকের এই গন্তব্যস্থলের নাম ‘লেপচাখা'(Lepchakha)। এখানে যেতে গেলে আপনাকে আলিপুরদুয়ার থেকে যেতে হবে। পাহাড়ের কোলে এক সুন্দর গ্রাম লেপচাখা। আপনি যখন ট্রেক করে এই জায়গাতে পৌঁছাবেন তখন তার প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখলে সব মনের কষ্ট দূর হয়ে যাবে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় তিন হাজার ফুট উঁচুতে অবস্থিত এই অঞ্চল।
মনে রাখবেন এটি ভুটান সীমান্ত অবস্থিত একটি গ্রাম। এখানে একটি বিশেষ অনুমতি পত্রের প্রয়োজন হয়। যেটি সবসময় সঙ্গে রাখতে হবে হারিয়ে ফেললে একদম চলবে না। এই গ্রামটি খুব ছোট। মাত্র দুই থেকে তিন কিলোমিটার দূরে জায়গার মধ্যেই গ্রামটি বিস্তৃত। এখানকার মানুষের কাজ বলতে চাষ করা। এই গ্রামের মধ্যে একটি তিব্বতি গুম্ফা রয়েছে যেখানে সকাল থেকেই বৌদ্ধভিক্ষুদের প্রার্থনার আওয়াজ শুনতে পাবেন। এছাড়া চারিদিকে রয়েছে ভুটানের পাহাড়। এখানে সকালের সূর্যোদয় আপনাকে আলাদা নৈসর্গিক দৃশ্য উপলব্ধি করতে দেবে। আর যদি পূর্ণিমার সময় যান তখন পাহাড়ের গা ঘেঁষে বেরোতে দেখবেন চাঁদকে। এই দৃশ্য সত্যিই ভাষায় উপলব্ধি করা যায় না।
আরও পড়ুন: Jio: এসে গেল Jio-র ঝাক্কাস প্ল্যান! মাত্র ৩৯৯ টাকায় ৩টি সিম সমেত ফ্রি আনলিমিটেড কল
কিভাবে যাবেন?
আলিপুরদুয়ার থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার গিয়ে পৌঁছাবেন সানতালা বাড়ি। আপনাকে এর জন্য রাজাভাতখাওয়া দিয়ে পৌঁছাতে হবে। সেখানে চেকপোষ্টে একটি অনুমতি পত্র নিতে হবে। সবসময় সঙ্গে রাখতে হবে, হারিয়ে ফেললে চলবে না। এবার সানতালা বাড়ি পৌঁছে আরও ১৫ কিলোমিটার গেলে আপনি ভিউ পয়েন্ট পাবেন। সেখানে একটি ছোট পার্ক রয়েছে যেখান থেকে পুরো আলিপুরদুয়ার শহর দেখতে পাবেন।
এখানে ট্রেকিং করার জায়গা রয়েছে। জিরো পয়েন্ট থেকে এই পার্কে আসতে হবে ৩ কিলোমিটার মতো। এই পথ ধরে আপনি পাঁচ কিলোমিটার হাটলেই বক্সা ফোর্টে পৌঁছে যাবেন। এখানে থাকার জন্য কিছু হোমস্টে ব্যবস্থা করে রেখেছেন এলাকার বাসিন্দারা। এখানের ভাড়া প্রত্যেকদিন ৫০০ টাকা থেকে ১ হাজার টাকার মধ্যে। এখানের বাসিন্দারা খুব তাড়াতাড়ি রাতের খাবার সেরে নেন। তাই এবার ঘুরতে যেতে চাইলে একবার এখন থেকে ঘুরে আসতে পারেন।