Papiya Paul

মাত্র ২১ বছর বয়সেই IAS অফিসার! অটোচালকের ছেলের সাফল্যের গল্প অনুপ্রাণিত করবে আপনাকে

নিউজশর্ট ডেস্কঃ Ansar Shaikh is an IAS officer know his Success Story: চাকরির পরীক্ষার ক্ষেত্রে ভারতের সবথেকে কঠিন পরীক্ষা হলো UPSC সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা। এই পরীক্ষাতে উত্তীর্ণ হওয়া বিরাট কঠিন ব্যাপার। আর একবার মাত্র পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হতে পারা স্বপ্নের মত। প্রত্যেক বছর লাখ লাখ পরীক্ষার্থী এই পরীক্ষায় বসেন কিন্তু খুব কম সংখ্যক পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হতে পারেন। অনেক ধৈর্য, প্রচুর পরিশ্রম, আত্মবিশ্বাস, মনের জোর, ইচ্ছা, সমস্ত কিছুর প্রয়োজন হয় এই পরীক্ষার জন্য। কিন্তু আজকের এই প্রতিবেদনে এমন একজন ছেলের কথা বলব যে মাত্র ২১ বছর বয়সে এই কঠিন পরীক্ষায় পাশ করে সকলকে চমকে দিয়েছেন।

   

এই ছেলেটির নাম আনসার শেখ)Ansar Shaikh)। মহারাষ্ট্রের জালনার জেলার সিলগাঁও গ্রামে তার জন্ম। তার বাবা ইউনূস শেখ পেশায় একজন অটোচালক। তার মা লোকের বাড়িতে কাজ করেন। তারা খুব দরিদ্র পরিবারে হলেও তার বাবা-মা পড়াশোনার জন্য সব রকম ভাবে সাহায্য করেছিলেন তাকে। কিন্তু অর্থের অভাবে কখনো পড়াশোনার জন্য কোচিং করার সুযোগ পাননি তিনি। আর এত কষ্ট সহ্য করে এই সফলতা সত্যিই সকলকে অনুপ্রাণিত করবে। এরকম পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যারা যায় তারাও ভবিষ্যতে স্বপ্নপূরণের জন্য এগিয়ে আসবে।

ছোটবেলা থেকেই খুব মেধাবী ছাত্র ছিলেন আনসার। তিনি মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় দুর্দান্ত রেজাল্ট করেন। এরপর জালনার কলেজ থেকে পদার্থবিজ্ঞানের স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন তিনি। কলেজ জীবনে পড়ার সময় UPSC পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার চেষ্টা শুরু করেন। তিনি জানতেন যে তার সেই স্বপ্নপূরণের জন্য প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে। কলেজে পড়াশোনার পাশাপাশি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে তিনি শুরু করে দেন।

বিভিন্ন বই, ম্যাগাজিন পড়ার সাথে সাথেই অনলাইনে কোচিং নিয়ে বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের সদস্যদের থেকে সাহায্য নিয়ে পড়াশুনা এগিয়ে যান। অর্থের অভাবে তাকে কখনো কখনো পড়াশোনার জন্য টাকা ধার নিতে হয়েছে। তিনি অনেকবার হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু তবুও তার স্বপ্ন পূরণের জন্য সবরকম চেষ্টা করে গেছেন। আনসার ২০১৬ সালে UPSC সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ৮৩ তম স্থান অধিকার করেছিলেন। এরপরে একজন আইএএস অফিসার হওয়ার সুযোগ পান তিনি।

তার এই রেজাল্ট শুধুমাত্র একটি পরীক্ষার ফলাফল নয় বরং যুদ্ধে জয়ী হওয়া। তিনি একজন সমাজসেবকও বটে। এলাকার মানুষের উন্নয়নের জন্য একটি এনজিও প্রতিষ্ঠা করেছেন, যা দরিদ্র মানুষের শিক্ষার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের মত সেবামূলক কাজে যুক্ত রয়েছে। এই আনসার প্রমাণ করে দিয়েছেন যে কঠিন অধ্যাবস্যায় এবং মনের জোর আর পরিশ্রম করলে যে কোন কাজে সফল হওয়া যায়।