নিউজ শর্ট ডেস্ক: বাংলা সিরিয়ালের (Bengali Serial) জগতে অত্যন্ত জনপ্রিয় মুখ এখন অহনা দত্ত (Ahona Dutta)। যদিও বাংলা সিরিয়াল প্রেমীরা তাঁকে চেনেন মিশকা (Mishka) নামেই। স্টার জলসা জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘অনুরাগের ছোঁয়া’তে (Anurager Chhowa) এই খলনায়িকার (Villain) চরিত্রে অভিনয় করেই বাংলা জোড়া ব্যাপক খ্যাতি পেয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত অল্পদিনের এই অভিনয় জীবনে অহনার অভিনয় জীবনের মতই চর্চায় থেকেছে তার ব্যক্তিগত জীবনও।
প্রেমিক দীপঙ্কর রায়ের সাথে তাঁর সম্পর্কের কথা এখনকার দিনে অজানা নয় কারও কাছেই। সম্প্রতি নতুন বছরের পরিকল্পনা নিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার সাথে আড্ডায় বসে ছিলেন অভিনেত্রী। তবে নতুন বছরের আগে তাঁর কাজের চাপ এতটাই ছিল যে শেষ মুহূর্তে শনিবারেই পহেলা বৈশাখের জন্য কেনাকাটা করতে হয়েছে অহনাকে।
তারপরেই এদিন পয়লা বৈশাখের পরিকল্পনা ফাঁস করে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, ‘তবে ওর মানে আমার বয়ফ্রেন্ডের ইচ্ছে, সকাল সকাল প্রিন্সেপ ঘাট যাব, ভোরের গঙ্গা দেখব। যদিও আমি এখনও জানি না সকালে উঠতে পারব কিনা! তারপর উত্তর কলকাতার কচুরি খেতে যাওয়ারও একটা ইচ্ছে আছে। দেখা যাক, কতটা কী হয়ে ওঠে!’
নতুন বছরের নতুন পরিকল্পনা প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে এদিন কথায় কথায় অভিনেত্রী জানান তাঁদের নতুন ফ্ল্যাট কেনার পরিকল্পনা প্রসঙ্গে। অহনার কথায়, ‘একটা বিষয় হয়তবা হলেও হতে পারে। তেমন চেষ্টাই চলছে। সেটা হল নতুন ফ্ল্যাট। এখন তো আমি আর দীপঙ্কর করুণাময়ীতে থাকি। তবে বারুইপুরের দিকে একটা ফ্ল্যাট কেনার পরিকল্পনা রয়েছে। দেখাও হয়েছে। তবে ৩০ শতাংশ ফাইনাল। এখনই তাই এটা নিয়ে আর কিছু বলতে চাই না।’
আরও পড়ুন: তুঁতে অতীত! গোপনেই ভিন ধর্মের হিন্দু ব্রাহ্মণ মেয়েকে বিয়ে করলেন সৈয়দ আরফিন
প্রসঙ্গত অহনার সাথে তাঁর প্রেমিকের সম্পর্কটা এখনও মেনে নিতে পারেননি তাঁর মা। তাই এখন মায়ের থেকে আলাদাই থাকেন অভিনেত্রী। তবে ইতিপূর্বে বহুবার মা’কে মিস করার কথা জানিয়েছেন অহনা। আর পয়লা বৈশাখ মানেই প্রত্যেক বাঙালির কাছেই পুরনো নস্টলজিয়া।
ব্যতিক্রম নন মিশকা অহনাও। তাই ছোটবেলার স্মৃতির পাতা উল্টে অভিনেত্রী এদিন জানালেন, ‘মা বলত, আজকের দিনে যা করবি, সেটাই সারা বছর হবে। তাই নববর্ষে ভালো কাজ করার চেষ্টা করতাম, যা কিছু ইতিবাচক। খুব মনে পড়ে, এইদিন বাড়িতে নতুন বিছানার চাদর পাতা হত। মা বলত, স্নান করে নতুন সুতো গায়ে দিতে হয়, মানে নতুন জামা পরতে হয়। মধ্যাহ্নভোজটাও ভুরিভোজ টাইপের হত।’