নিউজ শর্ট ডেস্ক: কথায় আছে ব্যর্থতাই সাফল্যের চাবিকাঠি! এবার বহু প্রচলিত প্রবাদকেই নিজের জীবনে সত্যি করে দেখালেন বাংলার এক তরুণী। লক্ষ লক্ষ ভারতীয়দের (Indian) স্বপ্ন যে ইউপিএসসি পরীক্ষা (UPSC Exam), সেই পরীক্ষাতেই বারবার চেষ্টার পর সফল হয়ে বাংলার মুখ উজ্জ্বল করেছেন শ্রীরামপুরের তরুণী অনুষ্কা সরকার (Anushka Sarkar)।
ভারতের সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষাগুলির মধ্যে অন্যতম ইউপিএসি। এই পরীক্ষাতেই তিন তিনবার ব্যর্থতার পর অবশেষে এই সফল হয়ে জাতীয় স্তরে বাংলার মুখ উজ্জ্বল করেছেন অনুষ্কা। সেই ২০২০ সাল থেকে টানা চার বছর ধরে ইউপিসি ক্র্যাক করার জন্য চেষ্টা করে চলেছেন তিনি।
অবশেষে নিজের কঠোর পরিশ্রমের দাম পেয়েছেন অনুষ্কা। ইউপিএসি পরীক্ষায় সফল হয়ে অবশেষে নিজের লক্ষ্যে পৌঁছেছেন তিনি। অনুষ্কা তাঁর প্রাইমারি এবংহয় স্কুলের পড়াশোনা করেছেন কলকাতার সেন্ট জোসেফ কনভেন্ট স্কুল থেকে। পরবর্তীকালে তিনি স্নাতক পাস করেছেন কলকাতার লেডি ব্যাব্রন কলেজ থেকে।
কলেজ থেকে স্নাতক উত্তীর্ণ হওয়ার পর স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের জন্য অনুষ্কা ভর্তি হয়েছিলেন এনআইটি উড়িষ্যায়। সেখানে স্নাতকোত্তর পড়াশোনা চলাকালীন সময়ে প্রথমবার উত্তর প্রদেশের এক সহপাঠী তাকে প্রথম এই পরীক্ষা সম্পর্কে জানিয়েছিল। তারপর কোন প্রস্তুতি ছাড়াই পরীক্ষা দিতে বসেছিলেন অনুষ্কা।
আরও পড়ুন: দেশের কন্যাদের ২ লক্ষ টাকা দেবে সরকার! জানুন এই প্রকল্পের জন্য কিভাবে আবেদন করবেন?
তবে প্রথম বার হলেও ভেঙে না পড়ে আরও জোরদার প্রস্তুতি নিতে অনুষ্কা ভর্তি হন রাজ্য সরকার অনুমোদিত সত্যেন্দ্রনাথ সিভিল সার্ভিস স্টাডি সেন্টারে। সেখান থেকেই শুরু করেন ইউপিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি। স্টাডি সেন্টারের পড়াশোনার পাশাপাশি হোস্টেলে কঠোর পরিশ্রম করতে শুরু করেন অনুষ্কা। তাই বারবার ব্যর্থতা আসলেও সেই ব্যর্থতা কখনও হতাশ করেনি তাকে।
তাই যতবার জীবনে ব্যর্থতা এসেছে ততবার তিনি আরও কঠিন পরিশ্রম করেছেন। শেষ পর্যন্ত ইউপিএসসি পরীক্ষায় ৪২৬ র্যাঙ্ক নিয়ে সফল হয়েছেন শ্রীরামপুরের অনুষ্কা। এবার অপেক্ষা তার জব অ্যালোকেশানের। তবে অনুষ্কা শুধু ইউপিএসসির জন্য পরীক্ষা দিয়ে থেমে থাকেননি, ইতিমধ্যে তিনি পাবলিক পলিসি এবং সোশ্যাল পলিসি সংক্রান্ত বিষয়ে মাস্টার্স করার জন্য বেশ কিছু ইউনিভার্সিটিতে অ্যা প্লাই করেছিলেন।
ইতিমধ্যেই লন্ডন স্কুল অফ ইকোনোমিক্স, কেমব্রিজ এবং অক্সফোর্ড থেকে পড়ার অফারও পেয়েছেন তিনি। তবে এই সাফল্যের পর উচ্ছসিত অনুষ্কা জানিয়েছেন প্রথম তিন তিনবার তিনি নাকি মেইন পরীক্ষা তো দূরের কথা প্রিলি পরীক্ষাতেও নাকি পাশ করতে পারেনি। তবে বারবার ব্যর্থতা এসেছে ঠিকই কিন্তু তিনি ভেবেছেন হাল ছেড়ে দিয়ে মন খারাপ করার কোন মানে হয় না বরং পরিশ্রম করে যেতে হবে স্বপ্ন পূরণের জন্য তাই পরপর চারবারের চেষ্টায় শেষ পর্যন্ত সাফল্য এসেছে তাঁর ঝুলিতে।