পার্থ মান্নাঃ অগাস্ট মাসে ঘটে যাওয়া আরজি করে ঘটনার পর মন একেবারে ভালো নেই। আগেই একথা জানিয়ে পুজোতে থাকলেও উৎসবে থাকবেন না স্পষ্ট জানিয়েছিলেন টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী অপরাজিত আঢ্য। যেমন বলেছেন তেমনি কাজেও করেছেন, পুজোয় মণ্ডপে দেখা গেলেও অন্য বছরের মত নাচ গান মা আনন্দ করতে দেখা যায়নি তাঁকে।
তবে দুর্গাপুজো এস হয়ে গিয়েছে। আর দুদিনের পরেই কোজাগরী লক্ষীপুজো। বিয়ে করে আসার পর থেকেই ধুমধাম করে লক্ষী পুজো হয়ে আসছে বাড়িতে। সেই সাথে পুজোর দিন লোক খাওয়ানো থেকে শুরু করে জমিয়ে আড্ডা আর হৈ হুল্লোড় চলে। নিজে হাতেই ভোগ রান্না করে মাকে দেখ ও বাকিদের খেতে দেন। তবে এবছর এসবের কিছুই আর হচ্ছে না বলে জানা যাচ্ছে।
অপরাজিতা আঢ্য একটি খোলাচিঠিতে জানান, ‘এবছর বাড়িতে মা লক্ষী আসবেন, পুজোও হবে। তবে সেটা খুবই সাদামাঠা ভাবেই সম্পন্ন করা হবে। যতটা না করলে নয় সেভাবেই করা হবে। তাই এবছর আর খাওয়ানো দাওয়ানোর ব্যবস্থাও থাকছে না’। এসব করার মত মন ভালো নেই বলেই জানান অভিনেত্রী।
আসলে আরজি করে ঘটনার পর থেকেই মন খারাপ অভিনেত্রীর। আজ দুমাসেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও বিচার অধরা। তাই নিজেকে সমস্ত রকম উঠবে থেকে দূরে সরিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অপরাজিতা আঢ্য। এদিন তিনি জানান, এমন একটা সময়ে সম্মুখীন হয়েছি যখন ঘরের লক্ষীরা দেবীপক্ষের আগেই আত্মপক্ষের লড়াইয়ে বুক বেঁধেছে। রাজপথে প্রশ্ন রেখেসে, ‘কার চেতনা জাগ্রত আছে? যে সময় রক্তমাংসের লক্ষীদের প্রতিনিয়ত অবমাননা করা হয়। সেখানে উপাসনা করলেও লক্ষীর পূজা উদযাপন নিরর্থক’।
তবে, পুজোর বন্ধ থাকবে না বলেই জানিয়েছেন অপরাজিতা। প্রতিবারের মত নিজের হাতেই লক্ষী আনবেন পুজোও করবেন। কিন্তু টেবিল কলকতার বুকে ঘটে যাওয়া নৃশংস ঘটনা টুনি তুলতে পারবেন না। মা লক্ষীর থেকে অভিনেত্রীর একটাই প্রার্থনা। সেটা হল, ‘বিচার দাও মা’। এখন অপেক্ষা কতদিনে দোষীরা শাস্তি পায় সেটা দেখার।