Papiya Paul

সাক্ষাৎ দেবী! বছরের শেষে পথশিশুদের সাহায্যে এগিয়ে এলেন অপরাজিতা আঢ্য

নিজের অসাধারণ অভিনয় দ্বারা দর্শকদের মনে বরাবরই প্রিয় অভিনেত্রীর জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। শুধু অভিনয়ই নয়, রূপে গুণে সবদিক থেকেই যেন খুব ভালো তিনি। অনেক ভক্তরাই মনে করেন এই অভিনেত্রীর মধ্যে ঠিক যেন দেবীর ছায়া রয়েছে। আর এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী হলেন টলিপাড়ার সকলের প্রিয় অপা দি অর্থাৎ অপরাজিতা আঢ্য। সম্প্রতি বড় পর্দায় একের পর এক কাজ নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন তিনি। কিছুদিন আগে মুক্তি পেয়েছে মৈনাক ভৌমিকের পরিচালনায় ‘একান্নবর্তী’ ছবিটি। এই ছবিতে দুই মেয়ের মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।

   

এর আগেও মৈনাক ভৌমিকের পরিচালনায় ‘চিনি’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন অপরাজিতা। এখানে অভিনেত্রী মধুমিতা সরকারের মায়ের ভূমিকায় দারুন কাজ করেছিলেন তিনি। অভিনয়ের সাথে সাথে ঘুরতে যেতে খুব ভালোবাসেন অভিনেত্রী। তাই কাজের ফাঁকে ছুটি পেলেই বাইরে ঘুরতে চলে যান। কয়েকদিন আগেই উটিতে গিয়েছিলেন। আর সেখানে গিয়ে নানা মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও অনুরাগীদের সাথে শেয়ার করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভালোই সক্রিয় থাকেন অভিনেত্রী। বাড়ির লক্ষ্মীপূজো থেকে শুরু করে দূর্গোপূজো, দোল উৎসব বা যে কোন অনুষ্ঠানের নানা মুহূর্ত তুলে ধরেন অনুরাগীদের সাথে।

এই বছর বেশ ভালোই কাটিয়েছেন তিনি। তবে নতুন বছরের শুরুটা আরো ভালো করে কাটানোর জন্য শেষ দিনে নিজের জীবনে বিশেষ এক মুহুর্ত জুড়লেন অভিনেত্রী। কলকাতা শহরে এমন অনেক মানুষ আছেন যাদের কাছে মাথার ছাদ নেই। ঠিকমতো খাবার পর্যন্ত তারা পায় না। রাস্তায় দিন যাপন করতে হয়। সবাই খুশিতে মেতে থাকলেও তারা সে আনন্দ কোনদিনও উপভোগ করতে পারেন না। সেই মানুষদের জন্যই বিশেষ কিছু করলেন অভিনেত্রী। সেই মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও শেয়ার করেছেন তিনি তার সোশ্যাল মিডিয়ায়।

অভিনেত্রী লিখেছেন, সারা বছরের সেরা আনন্দ।বছরের শেষ লগ্নে এসে নানা হিসাবের হিসেব নিকেশ করতে বসে মনে পরে গেল রবিঠাকুরের কয়েক ছত্র “নানা পথে নানা দলে দলে
যুগ যুগান্তর হতে মানুষের নিত্য প্রয়োজনে
জীবনে মরণে, ওরা চিরকাল, টানে দাঁড়, ধরে থাকে হাল
ওরা মাঠে মাঠে বীজ বোনে, পাকা ধান কাটে
ওরা কাজ করে নগরে প্রান্তরে।” কিন্তু দিন পরিবর্তন হয়েছে। নগরের বিভিন্ন রাজপথে আজ ওদের বাস। শীতের এই কুয়াশামাখা রাতে যখন দেখি মুখোশ বিহীন উল্লাস, মন ভেঙ্গে যায়। ওরাও এই আনন্দ আল্হাদের সমান অংশীদার। ঝাঁ চকচকে আলোর তলায় বড়ই মলিন ওরা। তাই এবছরের শুরুটা একটু পাল্টে নিলাম। কোভিডের করাল আক্রমণে আমরা অনেক কিছুই হারালাম শুধু বেঁচে থাকুক মানবিকতার কিছু ঝলক। ওদের পাশে দাঁড়াবার সামর্থ্য না থাকলেও সৎসাহস দেখিয়ে ফেললাম। কিছু আনন্দ ওদের সাথে ভাগ করে নিলাম। ওদের মুখের এই অনাবিল হাসি আরেকটা বছরের খোরাক হয়ে থাকুক। নতুন বছর নতুন প্রয়াস , নতুন ভাবনা। সবাই ভাল থাকুন।