মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জের ছেলেটার কণ্ঠের মাদকতায় বুঁদ হয়ে রয়েছে গোটা দেশ। তাঁর গানে মোহাচ্ছন্ন হয়ে আছে একটা গোটা জেনারেশন। তাঁকে সুরের জাদুগর বললে এক ফোঁটাও অত্যুক্তি হবে না। নানা চড়াই উতরাই পেড়িয়ে আজ অরিজিৎ সিং রয়েছেন সাফল্যের শিখরে। কিন্তু তবুও অরিজিৎ সিংয়ের সঙ্গে আর পাঁচজন মানুষের তফাৎটা শুধু তাঁর কণ্ঠে।
মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জ থেকে একজন সফল গায়ক, এই সফরটা এতোটাও মসৃন ছিলোনা। এখন জগৎজোড়া নামডাক তার, তাও স্টারডম যেন ছুঁতেও পারেনি তাঁকে। এখনও তাঁর জীবন যাপন অত্যন্ত সাদামাটা। খুব কম জনই পারে সাফল্যের শীর্ষস্তরে পৌঁছেও মাটির সঙ্গে মিশে থাকতে।
তবে তিনি শুধু অসাধারণ গায়কই নয়, মনের দিক থেকেও অরিজিৎ নিখাদ সোনা। আরব সাগরের তীরে বিলাসবহুল প্রাসাদ থাকলেও, আজও শিকড়ের টানে ছুটে আসেন ভাগীরথীর পাড়ে জিয়াগঞ্জে। এখনও তিনি জিয়াগঞ্জ আজিমগঞ্জ পুরসভার ভোটার। সময় পেলেই এখানকার উন্নয়নে ব্যস্ত হয়ে যান তিনি।
এছাড়া জিয়াগঞ্জের রাস্তায় নিজের স্কুটারে চড়ে তাঁকে ঘুরে বেড়াতে অনেকেই দেখেছে। স্পোকেন ইংলিশ স্কুলের জন্য ঘর খুঁজতে সাদামাটা ভাবে হাজির হয়েছেন কলেজে। অরিজিৎ জানান, তিনি স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শে অনুপ্রাণিত। অন্যকে সাহায্য করাই মানবতা, একথাই বরাবর মেনে এসেছেন অরিজিৎ।
দিনকয়েক আগেই শোনা গেছিল যে, জিয়াগঞ্জে একটি খাবার হোটেলও শুরু করেছেন অরিজিৎ। সেখানে মাত্র ৩০ টাকা দিলেই পাওয়া যাবে সুস্বাদু খাবার। আবার বেশি দামের খাবারও পাওয়া যাবে সেখানে। সর্বোপরি, নিম্নবিত্ত থেকে শুরু করে মধ্যবিত্ত, উচ্চবিত্ত সকলের জন্যই রয়েছে সুষম ব্যবস্থা।
আর এবার তাঁর লক্ষ্য হচ্ছে একটি স্কুল খোলা। সম্প্রতি মুম্বইয়ের কনসার্টে অরিজিৎ জানান, একটি স্কুল তৈরি করার উদ্দেশ্য রয়েছে তাঁর। এর জন্য দরকার পড়বে ১০০ কোটি টাকার। এইদিন মঞ্চে এই নিয়ে শ্রোতাদের কাছে আবেদনও জানান তিনি। তবে তা টাকা-পয়সার আবেদন নয়, বরং ভালোবাসার আবেদন।