জি বাংলাতে অনুষ্ঠিত ‘রান্নাঘর’-এর সঞ্চালিকা সুদীপা চট্টোপাধ্যায় যে মারাত্মক অহংকারী সেই নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই দর্শকদের। অনেকেই তার দম্ভ পছন্দ করেনা। নিজের দম্ভোক্তির ফলে বারংবার নিন্দিত হয়েছেন তিনি। এদিকে সোশ্যাল মিডিয়াতে বরাবরই তাকে সক্রিয় থাকতে দেখা গিয়েছে, সেখানে মাঝেমধ্যেই মনের কথা শেয়ার করে নেন সুদীপা। তবে এবার যা করেছেন তা নেটপাড়ায় চর্চার কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এর আগে বহুবার সুদীপার পোস্ট ঘিরে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। এবারেও সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। সম্প্রতি তার কাছে আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল এক খাবার ডেলিভারী বয়ের ফোন কল। বিতর্ক সৃষ্টি হওয়ায় সেই পোস্ট অবশ্য ডিলিটও করে দিয়েছেন তিনি। কিন্তু, পোস্ট ডিলিট করলে কি হবে ততক্ষণে দর্শকরা জেনে গিয়েছেন তার পোস্টের সারমর্ম। সেই পোস্টের পরিপ্রেক্ষিতেই সুদীপাকে অহঙ্কারী তকমা দিয়ে দেন এক সময়ের শিশু শিল্পী অরিত্র।
প্রসঙ্গত ২০০৩ সালে অরিত্র প্রথম দর্শকদের নজরে আসেন। এরপর দর্শকদের নজর কাড়েন মিঠুন চক্রবর্তীর নাচের রিয়্যালিটি শো ‘ড্যান্স বাংলা ড্যান্স জুনিয়র’-এ। বেশ কিছু বাংলা সিনেমা যেমন পরাণ যায় জ্বলিয়া রে, লে ছক্কা, হাঁদা ভোঁদা ইত্যাদিতে কাজ করেছেন অরিত্র। এহেন অরিত্রকে নাকি ভালো করে চেনেননা সুদীপা। অরিত্র তাকে অহংকারী বলায় তিনিও নিজের গলার সুর চড়িয়েছেন।
সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমে সুদীপা অরিত্র প্রসঙ্গে দাম্ভিক সুরে বলেন যে, “অরিত্র জীবনে কী করেছে যে ওর কথা আমায় শুনতে হবে”? অবশ্য সেখানেই শেষ নয়, সুদীপা অরিত্রর পরিবারকে টেনে এনে বলেন, “আমি যতদূর জানি অরিত্র যখন ছোট ছিল তখন ট্র্যাফিক পুলিশ গাড়ি আটকালে ওর বাবা-মা’ই বলতেন ভেতরে অরিত্র আছে। আর তা ছাড়া ও কে? কী করেছে জীবনে যে ওর কথা শুনতে যাব? বড়দের সম্মান দিতে জানে না। আমরা কিন্তু কখনওই আমাদের আগের প্রজন্মের সঙ্গে এভাবে কথা বলার সাহসটুকু পর্যন্ত পাইনি।”
সেখানেই শেষ নয়, রান্নাঘরের সঞ্চালিকা এও বলেন, “আসলে ও তো এখন কিছু করে না, তাই আমার মনে হয় আমার নামটাকে নিয়ে যদি একটু পেজটার সক্রিয়তা বাড়াতে পারে সেই কারণেই ওসব লিখেছে ও”। তবে দর্শকরা এক্ষেত্রেও কথা বলার সময় সুদীপা বন্দোপাধ্যায় এর দাম্ভিক এবং অহংকারী রূপকেই খুঁজে পেয়েছেন।তবে অরিত্রও দমে যাওয়ার পাত্র নয়। পরিবার তুলে কথা বলা মোটেও পছন্দ করেননি তিনি। সুদীপার বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এইদিন ফেসবুক লাইভে এসে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে জানান যে, যদি তার বিরুদ্ধে এমন কোনো প্রমাণ সুদীপা আনতে পারে যেখানে তিনি অভিনেতা হওয়ার সুযোগ নিয়েছেন তাহলে তা যেন তাকে দেখানো হয়।
এছাড়াও জানা যায়, তার বাবা, ঠাকুর্দা সকলেই কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, তার মায়ের রয়েছে নিজস্ব ব্যবসা এবং তিনি নিজেও উচ্চশিক্ষিত। অরিত্র জানায়, তার পরিবারের কাছে টাকাপয়সা হয়তো কম থাকতে পারে কিন্তু তাকে তার বাবা মা সমাজের প্রতিটি মানুষকে সম্মান করতে শিখিয়েছে। দারোয়ান থেকে সুইগি বয়, ঝাড়ুদার প্রতিটি মানুষ সম্মানের যোগ্য। সর্বপরি সমাজের প্রতিটা মানুষকে সম্মান করা উচিত, সুদীপাকে এমনটাই পরামর্শ অরিত্রর।