নিউজশর্ট ডেস্কঃ প্রতিটা মা বাবাই চান সন্তানদের একটা সুন্দর ভবিষ্যৎ চান। তবে বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা ও আনুসাঙ্গিক খরচ যে হরে বেড়ে চলেছে তাতে উচ্চশিক্ষা থেকে ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত (Child’s Secure Future) করার জন্য এখন থেকেই সঞ্চয় নিয়ে না ভাবলে মুশকিল। এমতাবস্থায় জনসাধারণের জন্য এই দুর্দান্ত বীমা প্রকল্প নিয়ে হাজির হয়েছে পোস্ট অফিস। যেখানে সামান্য কিছু টাকা বিনিয়োগ করলেই ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত পাওয়া যাবে। আজকে সেই পোস্ট অফিসের বীমার (Postal Insurance) সম্পর্কেই জানাবো আপনাদের।
পোস্ট অফিশি বাল জীবন বীমা প্রকল্প
ভারতের অন্যতম রাষ্ট্রায়াত্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অন্যতম একটি হল পোস্ট অফিস। সেখানেই পোস্টাল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের অধীনে শিশুদের জন্য এই বিশেষ বীমার সুযোগ রয়েছে। মূলত দুই ধরণের চাইল্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স স্কিম রয়েছে। যার একটি হল পোস্টাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স (Postal Life Insurance) ও আরেকটি হল গ্রামীণ পোস্টাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স (Grameen Postal Life Inusrance)। যদি আপনি পোস্টাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স করেন তাহলে মেয়াদ শেষ হলে ৩ লাখ টাকা পাওয়া যাবে। তবে গ্রামীণ পোস্টাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স করলে সেটাই ১ লাখ টাকা হয়ে যায়। যদিও PLI ও RPLI এর ক্ষেত্রে প্রিমিয়ামও আলাদা হয়।
এই পলিসি গুলিকে এন্ডমেন্ট পলিসির মতই বোনাস প্রদান করা হয়। যেখানে প্রতি ১০০০ টাকার জন্য RPLI এ ৪৮ টাকা ও PLI এ ৫২ টাকা বোনাস দেওয়া হয় প্রতিবছর। আপনার বিনিয়োগের রাশি + বোনাস + সুদ সব মিলিয়ে মেয়াদ শেষ হলে একটা মোটা টাকা রিটার্ন পাওয়া যায় সামান্য ইনভেস্ট করেই।
আরও পড়ুনঃ চার্জ কাটার ঝামেলা নেই, পাবেন ফ্রি ATM-লোন! প্রধানমন্ত্রী জনধন অ্যাকাউন্টের এই ৮ সুবিধা জানেন?
কারা পোস্টাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স করতে পারবে?
৫ বছর থেকে ২০ বছরের বাচ্চাদের এই পোস্টাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স করানো যেতে পারে। তবে তার জন্য বাবা-মায়ের বয়সে ৪৫ বছরের মধ্যে হতে হবে। এছাড়াও একজন বাবা-মা তাদের দুই সন্তানের জন্যই এই ইন্স্যুরেন্স করতে পারবেন। বাচ্চাদের হয়ে অবিভাবকেরাই এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করবে।
পোস্টাল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সুবিধা ও অসুবিধা
এই ইন্স্যুরেন্স স্কিমটিতে ৫ বছর প্রিমিয়াম দিতে হয়। মাসিক, ত্রৈমাসিক, অর্ধবার্ষিক কিংবা বার্ষিক যে কোনোভাবে প্রিমিয়াম দিতে পারেন। তারপর আর প্রিমিয়াম দিতে হয়ে না। তবে যদি কোনো কারণে ৫ বছর হওয়ার আগে বাচ্চার বাবা-মা মারা যায় তাহলে প্রিমিয়ামে কিছু ছাড় দেওয়া হয়। অন্যদিকে যদি ইন্স্যুরেন্স করা সন্তান মারা যায় তাহলে বীমার অর্থ নোমিনীকে বোনাস সমেত দেওয়া হয়।
এই স্কিম করানোর সময় সন্তানের ডাক্তারি পরীক্ষা করানো মাধ্যতামূলক না হলেও সুস্থ থাকাটা প্রয়োজন। পোস্টাল ইন্স্যুরেন্সের একটি অসুবিধার রয়েছে সেটা হল এটি সারেন্ডার করা যায় না। অর্থাৎ একবার পলিসি করে নিলে সেটা চালু রাখতে হবে। তাছাড়া এই পলিসি থেকে অন্যান্য স্কিমের মত কিছুদিন পর লোন পাওয়া যায় না।